চাঁদমারি ব্রীজে অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা চাঁদমারি ব্রীজে অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা - ajkerparibartan.com
চাঁদমারি ব্রীজে অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা

3:29 pm , August 26, 2022

এপ্রোচ না থাকার কারণে

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ দীর্ঘদিন ব্যবহার অনুপযোগী নগরীর চাঁদমারি খেয়াঘাট ব্রীজটি। অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা, তবু উদাসীন প্রশাসন। চাঁদমারি খেয়া ঘাট থেকে খুব সহজেই ব্রীজ পার হয়ে চলে যাওয়া যেত ত্রিশ গোডাউন এলাকায়। নদী পাড়ের মুক্ত বাতাসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ দর্শকদের ভিড় আরো বাড়তে পারে এ পথে। কিন্তু সমস্যা হলো এই কোটি টাকা মূল্যের ব্রীজটি ব্যবহার করতে এখানে যে মই বা স্লাপ বসানো হয়েছে তা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। ইতিমধ্যেই এই মই বা স্লাপে পা পিছলে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পথচারী। তাদের উদ্ধার করেছে স্থানীয় এক দোকানদার ও নৌকার মাঝিরা। স্থানীয়রা জানান, এই জায়গায় গত এক বছরে অনেকগুলো এক্সিডেন্ট হয়েছে। কয়দিন আগেও এক ছাত্রীর হাত ভেঙেছে। এই অভিযোগগুলো শুনতে হয় চাঁদমারি খেয়াঘাট এলাকার ব্রীজটিকে নিয়ে। সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এলাকার জনগণ ও দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য ব্রীজ টি নির্মাণ করেন এবং ব্রীজের ওপার বস্তি এলাকার নদী তীরবর্তী সীমানা ধরে প্রায় এক কিলোমিটার পথ চমৎকার ভ্রমণ উপযোগী হলেও এ পারের গুদারাঘাট, ইসলামিয়া হাসপাতাল ও কেডিসি অংশটি যেন ইচ্ছেকৃত চরম অবহেলার শিকার। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দা মনু মিয়া বলেন, চরকাউয়া খেয়াঘাট থেকে মুক্তিযোদ্ধা পার্ক পর্যন্ত এবং চাঁদমারি খেয়াঘাটের ওপার থেকে ত্রিশ গোডাউন ও বধ্যভূমি এলাকায় প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরণ সৌন্দর্য বর্ধন কাজ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা পার্কটিও তিনিই তৈরি করেন। এরপর থেকে এই এলাকার উন্নয়নে খুব একটা ভূমিকা দেখায়নি কেউ।
স্থানীয় রাশেদ রায়হান জানান, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক সীমানা পার হলেই দেখা যাবে হেরিংবন সড়ক রয়েছে কেডিসি পর্যন্ত। তবে বস্তি এলাকার লোকেরা নদী পাড়ে দোকানপাট তুলে হাঁটাচলার পথ প্রায় বন্ধ করে রেখেছে। কেডিসি পর্যন্ত আসতে অনেক কষ্ট পোহাতে হয়। কেডিসি থেকে চাঁদমারি খেয়া ঘাট আসতে হবে ঘুর পথে। সরাসরি রাস্তা তৈরি হবার কথা এখনো আশ্বাসে আটকে আছে।
ব্রীজটি দ্রুত সম্পন্ন করার তাগিদ দিয়ে সামাজিক ও বরিশাল অর্থনীতি সমিতির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন অসম্পুর্ন অবস্থায় পড়ে আছে। জনগনের সহজ যোগাযোগ পথ বাস্তবায়িত না হওয়ায় মানুষ চলাচলে কষ্ট পাচ্ছে। সম্ভবত এর আশে পাশে নদীর পাড় ক্রমাগতভাবে ভাঙ্গছে। দ্রুত এপ্রোচ অংশ নির্মান সহ ওই অংশের নদীর তীরে বাঁধ নির্মান করা হোক। শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সেতু হতে বেল তলা পর্যন্ত দখল মুক্ত করে নদীর পার হাটার উপযুক্ত করে উন্মুক্ত করা হোক।
আর পরিবেশ ও নদীরক্ষা আন্দোলনের নেতা কাজী এনায়েত হোসেন শীবলু বলেন, ব্রীজটি সম্ভবত প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরণ করেছিলেন। ওখানে নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে আর কেউ এখানে উন্নয়নের চেষ্টা করেনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT