বানারীপাড়ায় সাঁকো করে দিয়েছেন ভান্ডারিয়ার পুলিশ কর্মকর্তা বানারীপাড়ায় সাঁকো করে দিয়েছেন ভান্ডারিয়ার পুলিশ কর্মকর্তা - ajkerparibartan.com
বানারীপাড়ায় সাঁকো করে দিয়েছেন ভান্ডারিয়ার পুলিশ কর্মকর্তা

3:29 pm , July 24, 2022

সাধারন মানুষের দুর্দশা লাগবে নিজ অর্থায়নে

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বানারীপাড়ায় নিজ অর্থায়নে দশটি গ্রামের মানুষের চলাচলের অনুপযোগী সাকো নতুন করে তৈরি করে দিয়েছেন এক সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই)। শনিবার ঝুকিপূর্ন গাছ-বাশের সাকোর পরিবর্তে কাঠ দিয়ে সাকো নির্মান করে দিয়েছেন ভা-ারিয়া থানার এসআই জিয়াউর রহমান। সে বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসান বালীর ছেলে।
এসআই জিয়াউর রহমান জানান, দুই দিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন। তখন দেখতে পান উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের পশ্চিম আউয়ারের গ্রামের হেমায়েত হোসেনের বাড়ির সামনের গাছ-বাশের সাকোটি ঝুকিপূর্ন। এলাকবাসীর বরাতে এসআই জিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় সাকো দিয়ে চলাচল করা ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে। স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষের চলাচলের একমাত্র সাকোঁ মেরামতে এলাকার জন প্রতিনিধিদের নজরে আসেনি।
এসআই জিয়ার দাবী সাকো দিয়ে বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ও উদয়কাঠি ইউনিয়নের দশ গ্রামের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দারা চলাচল করে।
তাদের মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা উপলব্ধি করে শুক্রবার সকালে সাকো মেরামত শুরু করেন। শনিবার দিনভর ১২ জন শ্রমিক ও কাঠ মিস্ত্রি নিয়ে নির্মান কাজ শেষ করেছেন। সাকো নির্মানে তার ৮/৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই।
তিনি আরো বলেন, ছুটিতে বাড়ি গেলে সাকো মেরামত করে দেয়ার জন্য একাধিকবার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বলেছেন। কিন্তু তিনি কর্নপাত না করায় নিজে উদ্যোগ নিয়ে সাকো নির্মান করে দিয়েছেন।
এসআই জিয়াউর রহমান বলেন, এটা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের দায়িত্ব। এলাকার জনসাধারন একটি পুলের জন্য হাটতে পারবে না, এটা আমাদের সৈয়দকাঠির জন্য লজ্জাকর। আমাদের সবার উচিত যার যার জায়গা থেকে সমাজের সমস্যা যতটুকু সম্ভব পাশে দাড়ানো। আমিও সেটা করেছি মাত্র।
সাঁকো দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী উদয়কাঠি ইউনিয়নের তেতলা গ্রামের বাসিন্দা মো. রুস্তুত বলেন, দুই থেকে আড়াই বছর ধরে সাকোটি ভাঙ্গাচোরা অবস্থায় পড়েছিল। মেহেগনি গাছ ও বাশ দিয়ে লোকজন ঝুকি নিয়ে পার হতো। মেম্বর-চেয়ারম্যানদের জানানো হলেও তারা এসে দেখে ঠিক করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু ঠিক করে দেননি। জিয়া ভাই শনিবার সাকোটি মেরামত করে দিয়েছেন বলে জানান রুস্তুম।
পশ্চিম আউয়ার গ্রামের বয়োবৃদ্ধ আব্দুর রশিদ এসআই জিয়াকে দোয়া করে বলেন, চার (সাকে) ভাঙ্গা থাকার কারনে তার নাতি দুইদিন স্কুলে যেতে পারেনি। এখন আমি আমার নাতি সহ সবাই ভালো ভাবে চলাফেরা করতে পারবো।
এ বিষয়ে সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, বাজেট ছিল না বলে করে দিতে পারিনি। কেউ করে দিয়েছে কিনা জানি না। করলেও সেটা নিয়ে তো এতো মাতামাতির দরকার কি

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT