3:23 pm , July 22, 2022

পরিবর্তন ডেস্ক ॥ বরিশালের বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। তবে মাংসের দাম আগের মতই রয়েছে। গতকাল শুক্রবার নগরীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ অবস্থা দেখা গেছে। তবে বাজারের কোন দোকানে নেই মূল্য তালিকা। বেশ কয়েকজন দোকানিকে কেন মূল্য তালিকা নেই প্রশ্ন করা হলে বলেন লিখে কি হবে। কেউ পড়ে না। সকলে এসে জিজ্ঞাসা ওটার দাম কত, এটার দাম কত। মুখেই যখন বলতে হয় মূল্য তালিকা লিখে কি লাভ বলুন। এদিকে বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকায় সবধরনের সবজির দাম কমেছে। পোটল বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, ঢেরস, মিষ্টি কুমড়া, কাকরোল, কাঁচা কলা, বেগুন, পেঁপে সহ সবধরনের সবজি ৩০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা করে। গরুর মাংস কেন বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে ব্যবসায়ীরা জানান, গরুর আমদানী কম। এছাড়া এখন বিয়ের মৌসুম হওয়ায় বাড়তি দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। খাসি বিক্রি হচ্ছে ৮ শত থেকে ৭ শত ৫০ টাকা কেজিদরে। ব্রয়লার মুরগী ১৪৫ টাকা, সোনালী ২৪০ টাকা, লেয়ার ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রুই-কাতলা ৩ শত টাকা, তেলাপিয়া ৮০ থেকে ২ শত টাকা, পাঙাস ২ শত থেকে ৩ শত টাকা, শিং ৬ শত টাকা, কৈ ৪ শত টাকা করে, চিড়িং ছোট ৫ শত টাকা, বড় ৮ শত থেকে ১২ শত টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে পোর্ট রোড মাছের মোকামে ইলিশের সরবরাহ রয়েছে প্রচুর। কিন্তু এর বেশিরভাগই পচা বলে অভিযোগ রয়েছে। যারা কিনছেন তারা ঠকছেন। পচা ইলিশ ছোট সাইজ বিক্রি হচ্ছে ৪ শত থেকে ৫শত টাকায়, মাঝারি ৬ শত থেকে ৮ শত টাকায়, বড় ইলিশ ১ হাজার থেকে ১২ শত টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পচা ইলিশ বিক্রির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বিক্রেতারা। তার উল্টো প্রশ্ন করেন, পচা দেখেন কোথায়? আপনার চোখ নষ্ট তাই পচা দেখেন। এটা বোটের মাছ। পচা নয় একটু নরম তাই বলে পচা বলতে পারবেন না। অপরদিকে পচা মাছ বরফ দিয়ে শক্ত বানিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। পচা ইলিশে সয়লাব বরিশালের পোর্ট রোড মাছের বাজার। কোনো ক্রেতা যদি এর প্রতিবাদ করেন তা হলে মাছ ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই মান সম্মানের ভয়ে ক্রেতারা কোন প্রতিবাদ করার সাহস পান না। যারা পচা ইলিশ মাছ বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দিতে প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন ক্রেতারা।