3:53 pm , July 21, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক প্রসূতির সন্তান প্রসবে সহায়তা করার কারণে প্রশংসা কুড়িয়েছে নার্স মুক্তা। সেদিন দুপুরে তার ডিউটি ছিলো না। সাদা পোশাকে জরুরী বিভাগের সামনে থেকে যাচ্ছিলেন তিনি। এমন সময় এক প্রসূতি রোগীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনলেও প্রসূতি রোগীর সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসেনি। হঠাৎ মমতাময়ী ওই নার্স প্রসূতির সহায়তায় ছুঁটে আসে। কাপড়চোপড় দিয়ে প্রসূতির চারপাশে বেড়া দিয়ে সন্তান প্রসবে সহায়তা করেন। একপর্যায়ে প্রসূতির ফুটফুটে ছেলে শিশুর জন্ম হয়। এসময়ে প্রসূতি ও অন্যান্য রোগীর স্বজন তার সেবায় সন্তুষ্ট হয়। তবে জরুরী বিভাগের সামনে শিশু ভূমিষ্টহওয়ার পর ওই প্রসূতিকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে শিশু সন্তানকে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়ি ফিরে গেছেন সে। এদিকে জানা গেছে, নার্স মুক্তা ২০২২ সালের ১৩ মে এই হাসপাতালে যোগদান করেন। এর আগে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি কর্মরত ছিলেন। সরুপকাঠী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের জিল বাড়ি নামক গ্রামের আব্দুস সত্তার গাজীর মেয়ে সে। সাক্ষাতে কথা হলে সিনিয়র স্টাফ নার্স মুক্তা বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে আমার ডিউটি ছিলো না। সাদা পোশাকে জরুরী বিভাগের সামনে থেকে আমি যাচ্ছিলাম। এমন সময় বিউটি নামে এক প্রসূতি রোগীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। আশপাশের লোকজন চিতকার শুনলেও প্রসূতি রোগীর সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসেনি। এমনকি তার স্বজনরাও কিংকর্তব্যবিমূঢ় ছিলো। মায়া লাগলে আমি
ওই প্রসূতির সহায়তায় ছুঁটে আসি। আমি কাপড়চোপড় দিয়ে প্রসূতির চারপাশে বেড়া দিয়ে সন্তান প্রসবে সহায়তা করি। একপর্যায়ে প্রসূতির ফুটফুটে ছেলে শিশুর জন্ম হয়।