3:47 pm , June 2, 2022
মো. নজরুল ইসলাম, স্বরূপকাঠি ॥ স্বরূপকাঠি উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে সব নেতারা এক মঞ্চে। চলছে প্রস্তুতি, প্রতিদিনই কোন না কোন ইউনিয়নে হচ্ছে প্রস্তুতি সভা। সভা গুলোতে সব নেতারই এক মঞ্চে বসে বক্তৃতা করছেন। অবশ্য অনেকে তাদের ক্ষোভ ঝ্াড়ছেন বক্তৃতায়। ৩৩ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে একজন মুক্তিযোদ্ধা, বা তাদের সন্তান বা পরিবারের কাউকে না রাখার অভিযোগ। কেউ কেউ অভিযোগ তুলছেন জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সভায় উপস্থিত থেকে বক্তৃতা শুনে বোঝা গেছে রাগ ক্ষোভ যাই থাক একটা যায়গায় সবাই একমত সম্মেলন সফল হোক, সমন্বিত ভাবে নতুন একটা কমিটি আসুক। রাজনৈতিক স্থবিরতা কাটিয়ে স্বরূপকাঠির আওয়ামীলীগ তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাক।
দীর্ঘ ২৫ বছর পর আগামী ১৮ জুন স্বরূপকাঠি উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এর আগে বেশ ক’বার সম্মেলন হবে হবে করেও হয়নি। একবার আহ্বায়ক কমিটিও হয়েছিল যা বেশিদিন টিকে নাই। পূর্ব কমিটি বহাল করা হয়েছিল। গত ২৩ মে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের উপস্থিতিতে উপজেলা সদরে বর্ধিত সভায় দিন তারিখ ঠিক করে সহিদুল আহসানকে আহ্বায়ক, পৌর মেয়র মো. গোলাম কবির, সাবেক উপজেলা চেযারম্যান এস এম মুইদুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার ঠাকুরকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির নেতৃত্বে বিভিন্ন ইউনিয়নে সম্মেলন প্রস্তুতি মুলক বর্ধিত সভা করা হচ্ছে । ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার মধ্যে ৪ টি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওইসব সভায় ৯ম সংসদের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ^াস, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ, সম্পাদক অ্যাডভোকেট এস এম ফুয়াদসহ সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। সোহাগদল ইউনিয়নের সভায় ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিনি আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হওয়া সত্যেও গত ইউপি নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সম্পাদককে তিনি পাশে পাননি। সবচেয়ে বড় ক্ষেভের কথা বললেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক লাল মিয়ার ছেলে তনু। তিনি বলেন ৩৩ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিতে একজন মুক্তিযোদ্ধা, বা তাদের সন্তান বা পরিবারের কাউকে রাখা হয়নি। প্রায় সব ইউনিয়নেই নানা ধরনের ক্ষোভের কথা উঠে এসেছে। এর পরেও সকলেরই এক কথা সম্মেলন সফল হোক, সুন্দর একটি কমিটি হোক, রাজনৈতিক স্থবিরতা কাটিয়ে স্বরূপকাঠির আওয়ামীলীগ তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাক। সকল প্রকার গ্রুপিং বন্ধ করে, ভেদাভেদ ভুলে দলীয় পতাকা তলে সামিল হয়ে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনারবাংলা বিনির্মানে ঝাপিয়ে পড়া। দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিষন সফল করতে সবাই মিলে কাজ করার আহ্বান সকল নেতাকর্মীদের।