3:29 pm , June 1, 2022
পরিবর্তন ডেস্ক ॥ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, আপনারা যদি অপরাধীদের ধরতে না পারেন তাহলে আমাদের বলেন, আমরা তাদের ধরে থানায় সোপর্দ করবো। চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তবে তাদের মারধর করতে নিষেধ করেছেন মেয়র।সাংবাদিক অপূর্ব অপুর উপর হামলাচেষ্টার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এ আন্দোলনে একাট্টা হয়ে অপুকে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।সমাবেশে বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক মানবেন্দ্র বটব্যাল বলেন, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে অপুর ওপার হামলা ন্যাক্কারজনক। আমরা সাংবাদিকরা এমন ঘটনায় চিন্তিত। অপুর মতো একজন সাংবাদিকের ওপর যদি দিনেদুপুরে এমন হামলা হয় তাহলে সাধারণ মানুষ তো আরও নিরাপত্তাহীনতায় আছে।শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, আমি অপুকে ছোটবেলা থেকে চিনি। ও কোনোদিন ও অন্যায়ের সাথে আপস করেনি। অপুর মতো সাংবাদিকের ওপর এমন হামলা ও অপহরণচেষ্টা আসলেই আমাদের সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। আমরা দ্রুত এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।বরিশালে এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার আক্তার ফারুক শাহীন বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন জেহাদ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল নগরীর উত্তরাঞ্চলে। জমি দখল ও চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস যতরকম অপকর্ম আছে করেছে সে। জেহাদের একটা নিজস্ব বাহিনীও ছিল। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত বাকি তিনজনও এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। এরমধ্যে ট্যারা হাবিব, নূরে আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আর চিড়া মামুনের বিরুদ্ধেও মাদকের মামলা রয়েছে। এসব সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। বরিশাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মুরাদ আহমেদ বলেন, আজকের এই মানববন্ধনে জনসাধারণের উপস্থিতিই প্রমাণ করে অপু কতোটা সৎ-সাংবাদিক। আমি শুধু সবাইকে একটি কথা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই বরিশালে সন্ত্রাসবাদের দিন শেষ, সাংবাদিকদের দিন শুরু। নির্ধারিত সময় বেলা ১১টার অনেক আগেই সদর রোড এলাকা লোকেলোকারণ্য হয়।প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী নাসির উদ্দিন বাবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন ও ক্লাব সদস্য বেলায়েত বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সমর্থন জানিয়ে অংশগ্রহণ করে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, বিএম কলেজ শিক্ষক পরিষদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন বরিশাল, বরিশাল ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিইমজা), বরিশাল টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি, ফটো সাংবাদিক ফোরাম , বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, জেলা আইনজীবী সমিতি, সেক্টর কমান্ডার ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকলেও জনসংযোগ কর্মকর্তা পাঠিয়ে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।সমাবেশ ও মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সাংবাদিক মানবেন্দ্র বটব্যাল, মুরাদ আহমেদ, সাইফুর রহমান মিরন, পুলক চ্যাটার্জী ও আকতার ফারুক শাহীন, মুক্তিযোদ্ধা প্রদীপ কুমার ঘোষ, বিএম কলেজে শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আল আমিন সরোয়ার, সমন্বয় পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক নজমুল হোসেন আকাশ, বিসিসির কাউন্সিলর গাজী আকতারুজ্জামান হিরু, পরিবেশ আন্দোলন নেতা শুভঙ্কর চক্রবর্তী, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি নজরুল বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মিথুন সাহা প্রমুখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আনিচ, সাবেক ভিপি আনোয়ার হোসাইন, বরিশাল আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন, সাবেক অধ্যক্ষ স ম ইমামুল হাকিম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কাজল ঘোষ, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সম্পাদক দেবাশীষ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বরিশাল ব্যুরো প্রধান রাহাত খান, সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব এনায়েত হোসেন শিপলু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।