পদ্মাসেতু বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে পদ্মাসেতু বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে - ajkerparibartan.com
পদ্মাসেতু বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে

3:55 pm , May 31, 2022

কাজী মিজানুর রহমান ॥ আগামী ২৫ জুন, সকাল দশটায় সারাদেশে একযোগে বহুল প্রত্যাশিত, বহুল প্রতিক্ষিত, নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতুর জমকালো শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরেই যান চলাচলের জন্য পদ্মাসেতু খুলে দেয়া হবে। সারা দেশের ন্যায় দক্ষিণাঞ্চলবাসী সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। পদ্মাসেতু বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হলে স্বভাবতই বিভাগীয় শহর বরিশালের অপ্রশস্ত জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়কসমূহে দুরপাল্লার যানবাহনের চাপ বাড়বে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও দূর্ঘটনার হার বাড়বে। বিশেষত,এসব সড়কে রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে পথচারীর ঝুঁকি আরও বাড়বে।
হাতেম আলী কলেজ চৌমাথায় শহরের অন্যতম বড় বাজার, আছে স্কুল, কলেজ এবং মসজিদ। বিএডিসি, ব্যাংক এবং উপজেলা পরিষদও এই এলাকায়। চৌমাথা সৌন্দর্যবর্ধন লেক যেখানে প্রতিদিন বিকেলে কয়েক হাজার ভ্রমণ পিপাসু মানুষের আগমন ঘটে। শহরের দুটো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান পথ এটা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত বাসের স্টপেজও এই চৌমাথা। নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এবং রুপাতলি বাস টার্মিনাল খুবই ব্যস্ততম এলাকা। এখানে শিক্ষাবোর্ডসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন সরকারি দপ্তর, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক, বাজার, আবাসিক এলাকা হওয়ায় যানবাহন এবং কার্যোপলক্ষ্যে আসা জনসমাগম বেশি।এখানে রাস্তা পারাপার খুবই ঝুঁকিপূর্ন।
প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতে সড়কটা সবসময়েই ব্যস্ত থাকে।ফলে প্রায় নিয়মিতই এই সড়কে কমবেশি দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে পথচারীকে ।প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটেছে।
জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং দূর্ঘটনা ও প্রাণহানি হ্রাস করার জন্য বরিশাল নগরীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেমনঃ নথুল্লাবাদ; হাতেম আলি কলেজ চৌমাথা; রূপাতলী এইসকল ব্যস্ততম সড়কে ফুটওভার ব্রিজ খুবই জরুরি । জেলখানার মোড় এবং বটতলা বাজারের চৌরাস্তায়ও এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তবে বাস্তবতা হলো মানুষ সহজে ওভারব্রিজ এর সিড়ি ভেঙে উঠতে চায়না। কষ্টসাধ্য হওয়ায় বিশেষ করে মহিলা, শিশু এবং বৃদ্ধ নাগরিকগণ সিড়ি বেয়ে ওভারব্রিজ পার হতে চাননা। তাছাড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন নাগরিকের পক্ষে অন্যের সহযোগিতা ছাড়া রাস্তা পারাপার প্রায় অসম্ভব। বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে (ঊংপধষধঃড়ৎ ঋড়ড়ঃ ঙাবৎ ইৎরফমব) এস্কেলেটর ফুটওভার ব্রিজ এখন সময়ের দাবী। দেশে ইতোমধ্যে ২০১৪ সালে ঢাকায় এয়ারপোর্ট রোডে এবং ২০২০ সালে চট্টগ্রামে জাকির হোসেন রোডে এস্কেলেটর ফুটওভার ব্রিজ চালু করা হয়। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালে উন্নত দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আমরা আশা করতেই পারি বরিশাল নগরে একদিন এস্কেলেটর ফুটওভার ব্রিজ পাবে। তবে অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘায়িত করার আর সুযোগ নেই। তাছাড়া,আমাদের বাইপাস সড়ক এখনও অনেকটা অনিশ্চিত। দুঃখজনক হলেও সত্য, দীর্ঘ ৬/৭ বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করেও ফুটওভার ব্রিজের আবশ্যতার বিষয়টি কারো দৃষ্টিগোচর করা যায়নি।আশার কথা,আগামী ১ জুন, সকাল ১০টায় বরিশাল নগরীর ‘হাতেম আলি কলেজ চৌমাথা’ এলাকায় “ফুটওভার ব্রিজ” এর দাবিতে ‘মানববন্ধন’ আয়োজন করছেন বরিশালের তরুণসমাজ। তাদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।একই সাথে সদাশয় সরকারের কাছে নগরবাসীর চাওয়া বাস্তবরূপ লাভ করুক এই প্রত্যাশা করছি। আমরা যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করেছি এটা নির্মান হবে তার একটি প্রমানক। লেখক, পরিবেশ ও সমাজকর্মী।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT