3:29 pm , May 30, 2022
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রথম ধাপে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। এই ধাপে এই তালিকায় রয়েছে বরিশাল জেলার দুটি উপজেলা ও সিটি করপোরেশনসহ সদর উপজেলা। নিয়ম অনুযায়ী হালনাগাদের জন্য প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন হালনাগাদে নিয়োজিত কর্মীরা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে বাড়ি বাড়ি না গিয়ে তথ্য সংগ্রহ কাজ চালানো হচ্ছে। কার্যক্রম শুরুর প্রথম ১০ দিনে বরিশালের বিভিন্ন স্থান থেকে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন স্বয়ং নির্বাচন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। দু এক দিনের মধ্যে পুনরায় হালনাগাদ কর্মীদের নিয়ে বসা হবে।
তথ্য মতে গত ২০ মে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়। এ কাজের জন্য বরিশাল সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকার জন্য ২১৮ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়। যার মধ্যে সিটি এলাকার ৩০ টি ওয়ার্ডের জন্যই দেওয়া হয় ১১১ জন।
নিয়ম অনুযায়ী গ্রাম কিংবা শহর হোক প্রত্যেক কর্মীকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। কিন্তু হালনাগাদ কাজে নিয়োজিত কর্মীরা সে কাজটি করছেন না। তারা এক বাড়ি গিয়ে আশেপাশের বাড়ির লোকদের অন্য লোক মারফত খবর দিচ্ছে। যারা যাচ্ছে তাদের তথ্য নিচ্ছে আর যারা যাচ্ছে না তারা হালনাগাদের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
বরিশাল নগরীর মুন্সী গ্যারেজ এলাকার এক বাসিন্দা বলেন গত দুদিন আগে লোক মারফত জানতে পারলাম হালনাগাদের লোকজন এসেছে। তারা মুন্সী গ্যারেজ মসজিদের পাশে একটি বাসায় অবস্থান নিয়েছেন। যাদের হালনাগাদের প্রয়োজন তাদেরকে ওই বাসায় যাওয়ার জন্য বলেছেন। তিনি বলেন, শহর এলাকায় কে কাকে ডাকে,কে কাকে খবর দেয়। অনেকে তো জানতেই পারেনি। এভাবে নগরীর বেশ কিছু স্থান থেকে একই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন অভিযোগের বিষয়ে আমরা অবগত রয়েছি। বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই আমরা বসব। আমরা চাই সব সম্পূর্ন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হবে। প্রত্যেক কর্মীকে বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। তিনি বলেন ভোটার সংখ্যার উপরে ভিত্তি করে একটি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৪ জন কর্মী দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে ্একজন সুপারভাইজারও রয়েছে। এবার বরিশাল জেলায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ১শ’ ৯৯ জন নতুন ভোটারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে নির্বাচন কমিশন।