3:53 pm , May 29, 2022
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীর কাউনিয়া বাঁশের হাট এলাকার ব্যাটারি চালিত অটো স্ট্যান্ড থেকে কয়েক লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগের তীর কথিত শ্রমিক নেতা হায়দার নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে তদন্তে গিয়ে দেখা যায় নগরীর বাঁশের হাট স্ট্যান্ড থেকে কাগাশুরা বাজার, আমিরগঞ্জ বাজার ও বাবুগঞ্জ উপজেলার পোস্ট অফিস বাজার পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ১১০ টি অটো চলাচল করে। ওই স্ট্যান্ডের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অটো ড্রাইভাররা অভিযোগ করে বলেন, বাশেরহাট থেকে বাবুগঞ্জ পোস্ট অফিস বাজার পর্যন্ত চলাচলের জন্য প্রতিটি গাড়ি থেকে মাসে ২ হাজার টাকা করে দিতে হয় ওই কথিত শ্রমিক নেতা হায়দারকে। এই ব্যাটারি চালিত অটো গাড়িগুলোকে চাঁদাবাজি মুক্ত করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তার এই অক্লান্ত পরিশ্রমকে ম্লান করতে মাঠে সক্রিয় কথিত শ্রমিক নেতা পরিচয়দান কারী হায়দাররা। এই কথিত শ্রমিক নেতা হায়দার এর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বিসিসি ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ্যাড. মরতুজা আবেদীন এর ব্যাক্তিগত অফিস সহকারী ছিলেন হায়দার। রাতারাতি বড়লোক হওয়ায় নেশায়ই কি তিনি মেতেছেন এই চাঁদাবাজিতে প্রশ্ন এই স্ট্যান্ডের সাধারণ ড্রাইভারদের। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হায়দার’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ট্রাফিক এর টিআই বিদ্যুৎ ও কাউনিয়া থানায় মাস শেষে টাকা দেই। পাশেই মড়কখোলার পোল এর স্ট্যান্ড তো দেখেছেন সেখান থেকে ট্রাফিক অফিসার বিদ্যুৎকে টাকা না দেয়ায় তিনি ওই লাইন বন্ধ করে দিয়েছেন। আর আমি টাকা দেই বিধায় আমার এই লাইন এখন পর্যন্ত সচল রয়েছে বলেও তিনি জানান। এছাড়াও বরিশালের ক্লিন ইমেজের ছাত্রলীগ নেতা রইজ আহম্মেদ মান্না নাকি বিষয়টি নিয়ে অবগত বলেও জানান তিনি। আর এ ছাড়া বাকি যে টাকা থাকে তা দলের পিছনে খরচ করি। তিনি কোন দলের রাজনীতিতে সক্রিয় এমন প্রশ্নে হায়দার উত্তেজিত হয়ে এই প্রতিবেদক এর সাথে উচ্চস্বরে বাজে ভাষায় কথা বলেন।