3:26 pm , May 28, 2022
শিকদার মাহাবুব ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ(শেবামেক) হাসপাতালে বহিঃবিভাগ ডিসপেনসারিতে প্রায় ৩ হাজার রোগীর বিপরীতে মাত্র ২ জন ফার্মাসিস্ট ওষুধ সরবরাহ করছে। রোগীদের ওষুধ সরবরাহ করতে গিয়ে এখানকার ফার্মাসিস্টরা হাঁপিয়ে উঠছেন। হাসপাতাল বহি.বিভাগ ডিসপেনসারির ফার্মাসিস্ট ইনচার্জ মোঃ আলী আকবর বলেন, রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের কষ্ট হলেও ঔষধ সরবরাহে কোনরূপ বিঘœ ঘটছে না। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সকল রোগীরা পর্যাপ্ত ঔষধ পাচ্ছেন। তাছাড়া এখানে ফার্মাসিস্ট সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বস্তরের কর্মকর্তারা জানেন। এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বহি.বিভাগ টিকিট ছাড়াও ফ্রী টিকিটের রোগীদের সংখ্যার হিসাব নেই। তাদের প্রেসার নিতে হয় ফার্মাসিস্টদের। এখানে ৮ জন ফার্মাসিস্ট থাকার কথা থাকলেও মাত্র ২ জন কাজ করছেন। ফার্মাসিস্ট মোঃ মোমিনুর হাসান বলেন, রোগীদের ঔষধ সরবরাহ করার সময় সকাল আটটা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত। তারপরও রোগীরা দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তুতাড়িয়ে দেই না। এসব রোগীদেরও ঔষধ সরবরাহ করে থাকি। মাত্র ২ জন ফার্মাসিস্ট থাকলেও অফিস সহকারী তারিকুল ইসলাম সরবরাহ কাজে সহায়তা করে’। এদিকে অফিস সহকারী তারিকুল ইসলাম বলেন, নিজের চোখে দেখছি দুই জন ফার্মাসিস্ট অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলে নিতে হাঁপিয়ে উঠছেন। যে কারনে নিজ বিবেচনায় ফার্মাসিস্টদের কাজে সহায়তা করছি। অগ্রজদের সহায়তা করে আমি আনন্দ পাই’। এদিকে হাসপাতালের সিনিয়র স্টোর অফিসার ডাঃ নুরুন্নবী তুহিন বলেন,”আমাদের হাসপাতালের একজন ফার্মাসিস্ট ডেপুটেশনে রাজশাহীতে কর্মরত রয়েছে। ২ জন ফার্মাসিস্ট এখান স্বেচ্ছায় অন্যত্র বদলি হয়েছে। একজনকে বরিশাল সদর হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সংকট সমাধানের জন্য শেবামেক প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে একজন ফার্মাসিস্ট চেয়েছিলাম। প্রিন্সিপাল স্যার বিষয়টি দেখছেন। তাছাড়া স্বাস্থ্য সচিব বরাবরও চিঠি দেওয়া হয়েছে।