3:42 pm , May 22, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি’র (আইএইচটি) চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রদের সমকামিতার প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে সমকামিতার প্রস্তাবে অতিষ্ট হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট বিচার দাবি করেছেন এক ছাত্র। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ছাত্রকে নম্বর পাইয়ের দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সমকামিতায় বাধ্য করেছে বলে ক্যাম্পাস সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ জন্য ওই শিক্ষক ক্যাম্পাসের কিছু ছাত্রকে হাতে রেখে সমকামিতা থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসে কোয়ার্টার দখল এবং নিজেকে হোস্টেল সুপার দাবি করে আসছেন। অভিযোগের কপি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ফারেসি কাউন্সিলের সচিব ও পুলিশ কমিশনারের নিকট প্রেরন করা হয়েছে। মিজানুর রহমান ওই কলেজের ডিপ্লোমা ফার্মাস্টিস এর চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট লিখিত অভিযোগে এক ছাত্র জানিয়েছেন, মিজানুর রহমান শিক্ষক হিসাবে যোগদানের পর থেকে ওই ছাত্রকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার প্রস্তাবে রাজী না হলে ভয়ভীতিও প্রদর্শন করেন। আর এর বেশীরভাগ প্রস্তাব দেয়া হয় ওই ছাত্রের ম্যাসেঞ্জারে। যা স্কিনশট দিয়ে তার কপি মহাপরিচালকের নিকট প্রেরন করা হয়। এভাবে অনেক ছাত্রকে সমকামিতার কু প্রস্তাব দেয়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে পরীক্ষায় ফেল করার ভয় দেখায়। আর তার এসব কাজে সহায়তার জন্য কলেজের ছাত্রনেতাদের খারাপ কাজে প্রশ্রয় দেয় মিজানুর রহমান। শিক্ষকের কুপ্রস্তাবে রাজী না হলে মাদকসহ পুলিশের দেয়ারও ভয় দেখায়। এ কারনে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না কেউ। এছাড়াও অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের টাকা গ্রহন করে। তার অভিযোগ প্রমাণ করতে মিজানুর রহমানের ফেসবুক আইডি‘র তথ্য সংগ্রহ করলে সবকিছুই পরিস্কার হয়ে যাবে। তাছাড়া মিজানুর রহমান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আইএইচটি এর সরকারি বাসভবনে বসবাস করছেন। যা নিয়মের বহির্ভূত। তাছাড়া সে নিজেকে শিক্ষার্থীদের কাছে হোস্টেল সুপার দাবি করে আসছেন। তার এ ধরনের কর্মকান্ডের জন্য শিক্ষক মিজানুর রহমানের সকল ধরনের সার্টিফিকেট বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন অভিযোগকারী। একই সাথে তার অপরাধের বিচারও চেয়েছেন তিনি। মিজানুর রহমান নিজেকে ডিপ্লোমা হোমিওপ্যাথিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাইক্লোজি বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স পাশ করেছেও দাবি করেছেন। বাস্তবে তা সঠিক কিনা তা যাচাইয়েরও আবেদন জানানো হয়। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করে শিক্ষক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, কোন ছাত্রকে আমি সমকামিতার বিষয়ে কোন ধরনের ম্যাসেজ দেই নাই। এ ধরনের কোন ডকুমেন্ট থাকলেও তা সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।