2:56 pm , May 15, 2022
বিশেষ প্রতিবেদক ॥ নগরীর পেঁয়াজ পট্টির কতিপয় বিবেকহীন ব্যবসায়ীর কর্মকান্ডে জেল খাল ও সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি মারাত্মকভাবে দুষিত হচ্ছে। এতে করে খাল সহ কীর্তনখোলা নদীর একটি বড় অংশের মাছের জীবন পর্যন্ত বিপন্ন। গত কিছুদিন ধরে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়ানোর আশায় ধরে রাখা গত বছরের রসুন বিক্রি করতে পারেনি। মজুদ করে রাখা এসব রসুন পচে গেছে । ফলে অবাধে পেয়াজ পট্টি সংলগ্ন জেল খালে ফেলে দিচ্ছে। এসব পঁচা গলা রসুনের দুষিত বাস্পে জেল খালের পানি আরো দুষিত হয়ে পড়ছে। বস্তা বস্তা রসুনের দুষিত বাস্পে এ খালে আর কীর্তনখোলা নদী থেকে কোন মাছ প্রবেশ করা দুরের কথা, ভাটার সময় খালের দুষিত পানি কীর্তনখোলা নদীতে প্রবাহিত হয়ে সেখানের মাছের জীবনও বিপন্ন করছে। জেলখালে যে সামান্য মাছের বিচরন ছিল, ইতোমধ্যে সেখানেও মড়ক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শুধু পঁচা রসুনই নয় জেলখালের পোর্ট রোড ব্রীজের পাশের ফলের আড়তগুলো থেকে গত কয়েকদিন ধরে পঁচাগলা তরমুজ অবাধে খালে ফেলা হচ্ছে। ফলে নগরীর অন্যতম বৃহৎ জেলখালের দুষিত পানি ইতোমধ্যে এ নগরীর সুস্থ নাগরিক জীবনের জন্য ক্রমশ হুমকি হয়ে উঠেছে। মহানগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার অন্যতম পথ জেলখালটি গত এক দশকের বেশী সময় ধরে নুন্যতম কোন সংস্কার বা রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে মৃতপ্রায়। ইতোপূর্বে একজন জেলা প্রশাসক এ খালের সংস্কারের নামে বহুবার ঘটা করে নানা অনুষ্ঠান সহ ফটো সেসনের আয়োজন করেন। এমনকি খালটি সংস্কারের অনেক মহড়া পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করেছে নগরবাসী। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। মৃতপ্রায় জেল খালটি যেভাবে ছিল এখন তার চেয়েও আরো বিপন্ন। তবে সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জেল খাল সহ নগরীর ৭টি খালের সংস্কার করে প্রবাহ সৃষ্টির লক্ষ্যে খাল খননের প্রকল্পটিও এখন বাতিলের পথে।
কিন্তু কতিপয় বিবেকহীন ব্যবসায়ীর অসাধু কর্মকান্ডে জেলখালটি বিপন্ন পরিবেশ নগরীর সুস্থ নাগরিক জীবনকেই ইতোমধ্যে বিপন্ন করে তুলেছে। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর ও নগর ভবনের সাথে রোববার যোগোযোগের চেষ্টা করেও সরকারী ছুটির কারণে তা সম্ভব হয়নি। পেয়াজপট্টির একাধিক ব্যসায়ীর সাথে কথা বলা হলেও কেউ এ ঘটনার বিষয়ে মুখ খোলেন নি।