3:12 pm , May 11, 2022
আগৈলঝাড়া প্রতিবেদক ॥ আগৈলঝাড়া ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক শুন্যতা কাটিয়ে চিকিৎসক পদায়ন হলেও চিকিৎসকদের বসার কক্ষ, চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র সংকটের কারণে একাধিক চিকিৎসককে একটি কক্ষে বসে রোগী দেখতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বার বার বলাহলেও দুর্ভোগ সমাধানে নেই কোন প্রতিকার। সরেজমিনে দেখা গেছে, চিকিৎসকের ব্যক্তিগত কক্ষ সংকটের কারণে এক রুমে দু’জন এবং কোন কোন রুমে টেবিল-চেয়ার ঠাসাঠাসি করে তিনজন চিকিৎসকও রোগী দেখছেন। এতে চিকিৎসাসেবা ব্যহতর পাশাপাশি রোগীদের রোগের গোপনীয়তাও রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে ২৬জন চিকিৎসকের বিপরীতে ১৯ জন চিকিৎসক বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন। যার মধ্যে সম্প্রতি এক সাথে ১১ জন চিকিৎসক যোগদান করেছেন। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে সিনিয়র মেডিকেল অফিসার, মেডিকেল অফিসার, সহকারী মেডিকেল অফিসারও রয়েছেন। হাসপাতালের ৭টি কক্ষে ১৪জন চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি কক্ষেই দুইজন তিনজন করে চিকিৎসক বসে রোগী দেখছেন। রোগী দেখার বিষয়ে নতুন যোগদান করা চিকিৎসক ডা. ফারহানা ইসলাম বলেন, এখানে পর্যাপ্ত কক্ষ নেই। যার কারনে আমরা তিনজন একরুমে বসে চিকিৎসা সেবা দিতে বাধ্য হচ্ছি। অনেক সময় রোগীরা ব্যক্তিগত কিছু বিষয় আমাদের শেয়ার করেন। কিন্তু পাশাপাশি ডাক্তার আর রোগী থাকায় কোন গোপনীয়তা থাকে না। এতে রোগীরা বেশ বিড়ম্বনায় পরেন। বিশেষত, নারী রোগীদের ক্ষেত্রেই সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়। তারা হয়তো কিছু বলতে চাচ্ছে, কিন্তু পাশের জন পুরুষ ডাক্তার বা পাশের ডাক্তারের রোগী থাকে, তখন আর কিছু করার থাকে না। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, হাসপাতালে ওষুধ, নার্স ও চিকিৎসকসহ কোন কিছুর সংকট না থাকলেও চিকিৎসকদের চেম্বার রুম সংকট ও পর্যাপ্ত চেয়ার-টেবিলসহ আসবাবপত্র নেই। স্থায়ী কোনো অফিস সহকারী নেই। এই বিষয়গুলো নিয়েও নিয়মিত রোগী দেখছি আমরা। আমরা সমস্যাগুলো নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, কিন্তু কোন সমাধান আসেনি।