3:14 pm , May 9, 2022
স্বরূপকাঠি প্রতিবেদক ॥ স্বরূপকাঠির সারেংকাঠিতে বিয়ের দাবীতে সাহিদা আক্তার নামে (৪৫) এ গৃহবধু স্বামী সন্তান, নাতি ফেলে রেখে ইউপি মেম্বারের ঘরে উঠেছেন। রোববার গৃহবধু সাহিদা সারেংকাঠি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আল আমিনের (৪২) ঘরে ওঠে অবস্থান নিয়েছেন। ঘরে ওঠার পর মহিলা মেম্বারের উপস্থিতিতে এক বৈঠকের মাঝখান থেকে মেম্বার আল আমিন গা ঢাকা দিয়েছেন। তিনি তার মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। গৃহবধু সাহিদার দাবি আল আমিন তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের আশ^াস দিয়ে তার সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। এখন এ পথ ছাড়া তার কোন পথ খোলা নেই। বাধ্য হয়েই এ পথ বেছে নিয়েছে। ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ সায়েম জানান, গত বৃহস্পতিবার মেম্বার আল আমিন ও একই এলাকার বাবুল মাঝির স্ত্রী সাহিদা আক্তার আপত্তিকর অবস্থায় এলাকাবাসীর কাছে ধরা পড়েছে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়লে কোন উপায় না পেয়ে সাহিদা বিয়ের দাবীতে আল আমিনের ঘরে ওঠেছে। ওই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক মীর বলেন, আল আমিনের সাথে সাহিদার চার বছর ধরে প্রেম চলমান। এর আগেও বেশ কযেকবার তারা ধরাও পড়েছে। আল আমিনের বয়স ৪২ পার হলেও সে আজও বিয়ে করেনি। আল আমিনের বড় ভাই মো. মোস্তফা বলেন, তার ভাইয়ের সাথে ওই মহিলার দীর্ঘ দিন ধরে প্রেম চলছিল। বৃহস্পতিবার তার একান্তে বসে কথা বলার সময় এলাকার লোকজন তাদের ধরে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে লোকজন বাড়াবাড়ি করছে। ওই এলাকার সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যা সুচিত্রা রানী বিশ^াস বলেন, ওই মহিলার স্বামী, ৩ টি ছেলে দুই ছেলে বিয়েও দিয়েছে। ছেলের ঘরে নাতিও রয়েছে। ওই মহিলার সাথে আল আমিনের সম্পর্ক রয়েছে। বৃহস্পতিবারে এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জনের কারনে রোববার ওই মহিলা আল আমিনে ঘরে উঠেছে। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বৈঠকও করেছি। বৈঠকের এক পর্যায়ে প্রকৃতির ডাকে মিথ্যা বাহানা করে সড়ে পড়েছে আল আমিন। মহিলা পরিস্কার ভাবে বলছে তাকে বিয়ে না করলে সে ওই ঘরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবে। এ বিষয়ে সারেংকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি অনেক পুরনো। আমরা এক পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করেও দিয়ে ছিলাম। এ বিষয়টি নিয়ে বসে একটা ব্যবস্থা করা হবে।