3:10 pm , May 9, 2022
পরিবর্তন ডেস্ক ॥ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলের প্রসূতি ওয়ার্ডের টয়লেটে নবজাতক প্রসবের ঘটনা ঘতিয়ে দেখতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হাসপাতালের নবজাতক শিশুর বিশেষ সেবা ইউনিটের (স্ক্যানু) বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এমআর তালুকদার মুজিবকে প্রধান করে গত রবিবার বিকেলে এই কমিটি গঠন করেন পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম। কমিটি অপর দুই সদস্য হলেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং সহকারী পরিচালক ডা. এসএম মনিরুজ্জামান। কমিটিকে পরবর্তী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক সুস্পস্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলে জানান কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. তালুকদার এম.আর. মুজিব।এদিকে হাসপাতালের নবজাতক শিশুর বিশেষ সেবা ইউনিটে (স্ক্যানু) চিকিৎসাধীন ওই নবজাতক সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।স্ক্যানু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. তালুকদার এম.আর. মুজিব জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। অক্সিজেন সিচুরেশনও প্রায় ৯৭ ভাগ। তাকে পর্যবেক্ষণে রেখে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আগামী ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে সে বাড়ি ফিরতে পারবে বলে আশা করেন তিনি।গত শনিবার বিকেল ৩টার দিকে শিল্পি বেগম (২৭) নামে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীর এক রোগী তৃতীয় তলার প্রসূতি ওয়ার্ডের টয়লেটে যান প্রাকৃতিক কাজ সম্পন্ন করতে। সেখানে টয়লেটের প্যানে আকস্মিক সন্তান প্রসব হয় তার। প্রথমে বিষয়টি বুঝতে না পারলেও প্যানে শিশুর কান্না শুনে শিল্পি তাকিয়ে দেখেন একটি নবজাতক প্যানের মধ্য থেকে পাইপের মধ্যে ঢুকে গেছে। এ সময় তার ডাক চিৎকারে শিল্পির স্বামী নেয়ামতউল্লাহ ও অন্য রোগীর স্বজনরা বিষয়টি জানতেন পারেন। পরে নেয়ামতউল্লাত অন্য রোগীর স্বজনদের সহায়তায় দ্বিতীয় তলায় গিয়ে ওই টয়লেটের নিচে দ্বিতীয় তলার অংশ আড়াআড়িভাবে থাকা পাইপ হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে ভেঙ্গে প্রায় পৌঁনে ২ ঘণ্টা পর পাইপের ভেতর থেকে নবজাতকটি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ ঘটনাকে অলৌকিক হিসেবে দেখছেন অনেকে। টয়লেটের প্যানে নবজাতক প্রসব হওয়ার পর পাইপে আটকে থাকা এবং প্রায় পৌঁনে ২ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে শের-ই বাংলা মেডিকেলে। এদিকে ওই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরনো সকল টয়লেট আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম।