3:06 pm , May 7, 2022

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ শুক্রবারের তুলনায় শনিবার চারগুণ বেশি মানুষের চাপ বরিশাল নদী বন্দরে। আর এই সুযোগে কেবিন ও বিছানা বেচাকেনা নিয়ে যাত্রী ও লঞ্চের কর্মচারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ঠেকাতে অস্থির ঘাট নিরাপত্তা রক্ষীরা। যদিও জনসম্মুখে বিছানা কেনাবেচা প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান সবাই। তবে স্টাফ কেবিন বিক্রি হয় বলে স্বীকার করেন তারা। এদিকে শনিবার বিকেলে ১৪ টি লঞ্চের পরও অতিরিক্ত তিনটি যুক্ত হয়েছে বলে জানালেন ঘাট কর্তৃপক্ষ। এমনকি সরকারি জলযান হিসেবে পরিচিত এমভি মধুমতীর ডেকে ও কেবিন বারান্দাও ছিলো পরিপূর্ণ। হাঁটাচলার জায়গায়ও চাদর বিছিয়ে বসে পরেছেন যাত্রীরা। আগামী কালও আরেকটা চাপ যাবে। তারপর সোমবার থেকে স্বাভাবিক চিত্র ফিরে আসবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর উপ পরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। ৭ মে শনিবার বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে ঠিক সাড়ে ছয়টায় ছেড়ে যায় এমভি মধুমতী। তার ঠিক পরেই লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভীড়ে চিৎকার শোনা যায় – কেবিন লাগবে কেবিন। অথচ সবগুলো লঞ্চে দিনের বেলা খোঁজ করে কোনো কেবিন পাওয়া যায়নি। ফলে যাত্রী ও লঞ্চ শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যস্ত হতে দেখা যায় নৌ বন্দর পুলিশকে। এসময় কীর্তনখোলার মাস্টারকে ধরে নিয়ে যায় নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষ। পা রাখার বিন্দুমাত্র স্থান অবশিষ্ট নেই। এমনকি টয়লেটের সামনের ফাঁকটুকুতেও পলিথিন বিছিয়ে বসে পরেছেন যাত্রী। অবস্থা বেগতিক দেখে লঞ্চ ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই যাত্রী বোঝাই হওয়ায় সন্ধ্যা সাতটা সাড়ে সাতটার মধ্যে ঘাট ত্যাগ করতে বাধ্য হয় সবগুলো লঞ্চ। শুধু কীর্তনখোলা-২ রয়েছে বিচারাধীন অবস্থায়। মাস্টার বদলে যেকোনো মূহুর্তে বরিশাল ত্যাগ করবে এই জলযানটিও।