3:13 pm , April 29, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রমজানের শেষ জুমায় যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না মসজিদে। প্রখর রোদ ও গরম উপেক্ষা করেই শেষ জুমায় মসজিদে মসজিদে ঢল নেমেছিল মুসল্লিদের। অধিকাংশ মসজিদেই ভেতরে মুসল্লিদের জায়গায় না হওয়ায় বাইরে নামাজ পড়তে দেখা গেছে। রাস্তার পাশের মসজিদগুলোতে জায়গা না হওয়ায় মূল সড়কেও গেছে নামাজের কাতার, তীব্র রোদের মধ্যেই নামাজ আদায় করেছেন মুসুল্লিরা।
মসজিদ গিয়ে দেখা গেছে, বেলা ১২টা থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যেই ভরে যায় পুরো মসজিদ। রমজান মাসের শেষ শুক্রবারের এ জুমা নামাজে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের মসজিদগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী প্রবেশ করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ আদায় ও জিকিরে মগ্ন ছিলেন।
খোৎবা পূর্ব বয়ানে খতিব ছাহেবগন রোজা, নামাজ, জাকাত ও ফেতরার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে এসব আদায়ে দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথাও স্মরন করিয়ে দেন।
দক্ষিণাঞ্চলে জামাতুল বিদার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় ফরিদপুরের বিশ^ জাকের মঞ্জিলে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মুসুল্লীয়ান এ দরবার শরিফে উপস্থিত হয়ে জামাতুল বিদার নামাজে অংশ গ্রহন ছাড়াও বিশ^ জাকের মঞ্জিলের পীর ছাহেব হজরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেবের রওজা শরিফ জিয়ারতে অংশ নেন।
এছাড়াও বরিশালের চরমোনাই দরবার শরিফ, পিরোজপুরের ছারছিনা দরবার শরিফ, ঝালকাঠীর নেসাবাদের কায়েদ ছাহেব হুজুরের দরবার শরিফ, বরগুনার মোকামিয়া দরবার শরিফ, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে হজরত ইয়ার উদ্দিন খলিফা (রঃ) ছাহেবের দরবার শরিফ মসজিদেও জামাতুল বিদার নামাজে বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী অংশ নেন।
এছাড়া বরিশাল মহানগরীর চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মছজিদ, কেন্দ্রীয় জামে কসাই মসজিদ, বায়তুল মোকাররাম মসজিদ সহ নগরীর বিভিন্ন মসজিদেও হাজার হাজার মুসুল্লীয়ান জামাতুল বিদার জামাতে শরিক হন।
এদিক বৃহস্পতিবার রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতেও দক্ষিণাঞ্চলের মসজিদ সমুহে মুসুল্লীয়ানগর রাতভর এবাদত বন্দেগীতে অংশ নেন। এ উপলক্ষে বরিশালের জামে এবাদুল্লাহ মছজিদে খতমে তারাবী ছাড়াও কিয়ামুল লাইলের নামাজেও বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী অংশ নেন।