3:06 pm , April 27, 2022
পিরোজপুর প্রতিবেদক ॥ ইন্দুরকানীতে সুমী আকতার নামে এক গৃহবধুকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এঘটনায় পুলিশ গৃহবধুর স্বামী হৃদয় হাওলাদার ও শ^াশুড়ী জেসমিন বেগম কে আটক করেছে । মঙ্গলবার রাতে উপজেলরা বালিপাড়া ইউনিয়নের ঢেপসাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধুর মরাদেহ রাতেই উদ্ধার করে পুলিশ ইন্দুরকানী থানায় নিয়ে আসে। মঙ্গলবার রাতে গৃহবধুর নানা সাকায়েত ফরাজী বাদী হয়ে গৃহবধুর স্বামী,শ^শুর,শ^াশুরী ও ননদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে ইন্দুরকানী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারুক হাওলাদারের ছেলে হৃদয় হাওলাদার (১৮) একই গ্রামের প্রবাসী সাহিদা বেগমের মেয়ে সুমী আকতার (১৭) কে এক ব্ছর আগে সম্পর্ক করে বিয়ে করে। এ নিয়ে সংসারে শ^শুর শাশুড়ীর সাথে কলহ চলছিল। হৃদযের কোন আয় না থাকায় স্ত্রী কে তার মায়ের কাছ থেকে মোটর সাইকেল কেনার টাকা আনতে বলে। টাকা না আনায় তাকে তার স্বামী,শ^্শুর, শ^াশুড়ী ননদ মিলে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে। নির্যাতনে গৃহবধু মারা যায়। পরে তারা বিষ খেয়েছে বলে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। তখন মরদেহ তারা দ্রুত বাড়ীতে নিয়ে আসেন।
ইন্দুুরকানী থানার ওসি মোঃ এনামুল হক জানান, গৃহবধু মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী ও শ^াশুড়ীকে আটক করা হয়েছে। তাকে হত্য করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। মৃত্যু নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য রয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিস্কার হবে।