2:57 pm , April 26, 2022
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিধবা বৃদ্ধা মায়ের ভরণ পোষণ ও বয়স্ক ভাতার টাকা ঠিকমত না দেয়াসহ ছোট ২ সন্তানের সম্পত্তি আত্মাসাতের অভিযোগ এনে বড় ও মেজো ছেলের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে মা। মঙ্গলবার বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন নগরীর মড়ক খোলার পুল সংলগ্ন এলাকার মৃত. শাজাহান ডাকুয়া স্ত্রী মোসাঃ আয়শা বেগম (৬২)। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জননী সাহান আরা বেগম স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আয়শা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার ছোট ছেলে হাছান ডাকুয়া। লিখিত বর্ণনায় জানায় মা উল্লেখ করেছেন, তার চার ছেলে ও এক মেয়ে। বর্তমানে তিনি তার ছোট ছেলে অটো চালক হাছান ডাকুয়ার সংসারে থাকেন। সেজো ছেলে ও একমাত্র মেয়ে তার খোঁজ খবর নিলেও বড় ছেলে মোঃ মোশারেফ ডাকুয়া ও মেজো ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন ডাকুয়া কোন খোঁজ খবর নেয় না। এ দু’জন মিলে তিন সন্তান মো. হাছান ডাকুয়া, রাবেয়া বেগম ও মো. মোজাম্মেল হোসেন ডাকুয়ার নগদ অর্থসহ অর্ধ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি কূটকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে। সর্বশেষ আয়শা বেগমের স্বামী ও তার ৩ বোন অর্থাৎ আয়শার ৩ ননদসহ ৪ ছেলে মিলিত হয়ে স্ট্যাম্প চুক্তিতে পারিবারিক মিমাংশায় বসে। চুক্তি অনুযায়ী মোশারেফ ও আনোয়ার মিলে ৮ লাখ টাকা মোজাম্মেল ও হাছানকে দিবে। এবং তাদের পিতা শাজাহান ডাকুয়াকে ৩ লাখ দিবে পুত্র মোশারেফ ও আনোয়ার। কিন্ত সেই চুক্তির ওয়াদা রাখেনি মোশারেফ ও আনোয়ার। ২ ভাইকে সম্পতি বুঝিয়ে না দেয়ায় বড় ভাই মোশারেফ ও মেঝো ভাই আনোয়ারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয় ছোট ভাই হাছান ডাকুয়া। এরপরই আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি বেগম বাদী হয়ে হাছানের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। বিচারক দু’পক্ষের কথা শুনে মামলাটি খারিজ করে দেয়। এরপর মোশারেফ ক্ষিপ্ত হয়ে হাছানের বিরুদ্ধে আদালতে ২টি মামলা দায়ের করে। মোশারেফ ডাকুয়া কাশিপুর ইউনিয়নের মধ্য শারশী গ্রামের বাড়ির বাগানের গাছ বিক্রি করে প্রায় ৫ লাখ টাকা নিয়েছে। জমি বিক্রি করে প্রায় ১০ লাখ টাকা, নতুন বাজার এলাকায় ৩টি স্টলে ১২ বছর, ৬ বছর ও ৪ বছরে ভাড়া বাবদ প্রায় ২০ লাখ টাকা, ডিপিএস বাবদ ২ লাখ টাকা, সমিতির ২০ হাজার, মোজাম্মেল হোসেন ডাকুয়া ১১ বছর বাহরান থেকে বড় ভাই মোশারেফ ডাকুয়ার কাছে নানা ভাবে পাঠিয়েছে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এর সাথে হাত মিলিয়েছে দ্বিতীয় সন্তান মো. আনোয়ার হোসেন ডাকুয়া। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে বড় ও মেজো ছেলে মিলে তাকে একাধিকবার বেদম মারধর করেছে। তার স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায়ও বড় ছেলে প্রতারণা পূর্বক জাল দলিল তৈরী করে ১১ শতাংশ জমি নেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ছোট ২ ছেলের কারণে পারেনি। অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে মোশারফের কাছে জানতে চাইলে, তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন বাবাকে ফেলে রেখে মা তাবলিকে চলে গিয়েছিল। সেই থেকে দূরত্ব। তবে মা তার সাথে থাকতে চাইলে তিনি রাখবেন। অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় প্রশ্ন তুললে মোশারেফ সরাসরি স্বাক্ষাৎ করতে চান বলে ব্যক্ত করেন।