3:53 pm , April 24, 2022
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর চাওয়ায় অভিযোগে তিনটি পরিবারকে গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়ির প্রবেশপথে বাঁশের বেড়া ও টিন দিয়ে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে পরিবারগুলোকে। ফলে প্রায় তিন মাস যাবত মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারগুলো। ঘটনাটি কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন আউরা গ্রামের। ভূক্তভোগী সফিকুল ইসলাম শাওন এ বিষয়ে ইতিমধ্যে একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও সুফল পায়নি। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, আর্থিক সংকট ও জমি না থাকায় সরকারি ভুমিহীন ঘরের জন্য গত ১৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর বরাবর আবেদন করে সফিকুল ইসলাম শাওন। আবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ ওসমান গনি কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ফরওয়ার্ডিং করে। এরপরপরই বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার। এ ঘটনায় শফিকুল ইসলামের স্বজনদের গৃহবন্দীসহ শাওনকে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করছেন ইউএনও সুফল চন্দ্র গোলদার।
শফিকুল ইসলাম শাওন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘরের জন্য আবেদন করি। তাই ইউএনও স্যার আমাকে হয়রানী করছে। আমার আত্বীয় স্বজনদের গৃহবন্দী করছে আমাকে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করছে। এ বিষয়ে আমি ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ও বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি। এছাড়াও ২৬ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী কার্য়ালয় লিখিত আবেদনসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি। কাঠালিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: বাদল ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব তালুকদার বলেন, সফিকুল ইসলাম শাওন ভুমিহীন ঘর না পাওয়া এবং তিনটি পরিবার গৃহ বন্ধী করা এটা এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা ঠিক করেননি। তার উচিত এই সমস্যা সমাধান করা। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে অভিযোগ টি ভিত্তিহীন বলে ফোনটি কেটে দেয়। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক জোহর আলী জানান, সফিকুল ইসলাম শাওনের অভিযোগের একটি ইমেইল আসছে আমাদের কাছে মুখ্য সচিবের একান্ত সচিবের কাছ থেকে। সফিকুল ইসলাম শাওন ভুমিহীন ঘর পাবে তবে ঘরের জন্য কোনো টাকা নেয়া হয়েছে কিনা তা জানা নেই।