শেবাচিম হাসপাতালে রোগীর স্বজন প্রহৃত শেবাচিম হাসপাতালে রোগীর স্বজন প্রহৃত - ajkerparibartan.com
শেবাচিম হাসপাতালে রোগীর স্বজন প্রহৃত

3:21 pm , April 23, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে স্বজনদের সাথে বিবাদের জের ধরে হাসপাতালে ভর্তি নবজাতকের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছে বরিশাল শের- ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের নিরাপত্তা প্রহরী আনসার সদস্যরা। এর আগে নবজাতকের মামা ও খালুকে মারধর ও বাবাকে লাঞ্চিত করেছে তারা। শনিবার বিকেলে হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার রোগীর স্বজন আশরাফুল হক মুন্না বলেন, ভায়রার নবজাতকের নাভিতে সমস্যা হওয়ায় স্বরূপকাঠি থেকে শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছে। দুপুর তিনটার দিকে হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে শিশুকে ভর্তি করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি ও শ্যালক রাসেল নবজাতক ওয়ার্ডের সামনে যায়। এ সময় ওয়ার্ডের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোককে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি চায়। কিন্তু তিনি চিৎকার-চেচামেচি করে বাইরে বের করে দেয়। নিরাপত্তারক্ষী কোন কথা না শুনে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মারধর শুরু করে। কোন দোষ না করেও ক্ষমা চাওয়ার পরেও মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন মুন্না।
মারধরের শিকার রাসেল হাওলাদার বলেন, হাসপাতালের স্টাফ মেহেদী ও কয়েকজন আনসার সদস্যরা শুধু মারধর করেনি, রোগীকে চিকিৎসা দিবে না বলে হুমকি দিয়েছে। এতে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। তারা একবার ভর্তির কাগজ নিয়ে আটকে রেখেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বৃদ্ধ তফসের আলী বলেন, দুজনে কথা বলছিল। এরমধ্যে হাসপাতালের স্টাফ ও আনসার সদস্যরা মিলে দুইজনকে মারধর করেছে। চিকিৎসাধীন আরেক শিশুর পিতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৭ এপ্রিল আমার সন্তান এখানে এনে ভর্তি করিয়েছি। ওইদিন ওয়ার্ডে নেয়ার পরে আর সন্তানকে দেখতে পারিনি। সন্তানকে দেখতে চেয়ে হাসপাতালের স্টাফদের পায়ে ধরেছি । কিন্তু তারা ঘাড় ধরে বের করে দিয়েছে। রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, আজকে দুইজনকে মারধর করে আটকে রেখেছে স্টাফ ও আনসাররা। আমি তখন প্রতিবাদ করায় আমাকেও লাঞ্ছিত করেছে। আমাকে বলেছে আমার সন্তানের চিকিৎসা দিবেন না। ইউনিসেফ প্রকল্পে হাসপাতালে কর্মরত অভিযুক্ত মেহেদী হাসান যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে দাবী করে বলেন, নবজাতক ওয়ার্ডের গেটের কাছে আমি দায়িত্ব পালন করছিলাম। তখন এসে দুইজন আমাকে ও ওয়ার্ডের ক্লিনারের ওপর হামলা করেচে। তারা হাসপাতালের স্টাফের গায়ে হাত তোলায় তাদের আটকে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত আনসার সদস্য অভিষেক মুজমদার বলেন, হাসপাতালের স্টাফরা অভিযোগ দিয়েছেন তাদের ওপর হামলা হয়েছে বিধায় রাসেল ও মুন্না নামে দু’জনকে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারা এখান থেকে তাদের রোগী নিয়ে যাবেন। অন্যথায় তাদের রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে না সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আনসার সদস্য অভিষেক মজুমদার।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শাহীন জানিয়েছেন, ঘটনাটি পুরোপুরি জানেন না তিনি। খবর নিয়ে দেখছেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT