চরফ্যাশনে স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়েছে স্বামী চরফ্যাশনে স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়েছে স্বামী - ajkerparibartan.com
চরফ্যাশনে স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়েছে স্বামী

3:20 pm , April 23, 2022

চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ চরফ্যাসনে যৌতুকে দাবীতে শারমিন(২১) নামের এক গৃহবধুকে স্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ ওই গৃহবধুকে স্বাসরোধ করে হত্যার পর ওড়না পেঁচিয়ে বসত ঘরে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে গেছেন স্বামী সফিক ও তার পরিবারের সদস্যরা। গতকাল শনিবার সকালে মাদ্রাজ ইউনিয়নের মিয়াজনপুর গ্রামে গৃহবধুর স্বামীর বসত ঘরে এঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধু শারমিন ওই ইউনিয়নের মিয়াজানপুর গ্রামের সাহজাহানের মেয়ে। গৃহবধুর চাচী জানান,তিনবছর আগে একই ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে চর আফজাল গ্রামের মফিজের ছেলে সফিকের সাথে শারমিনের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে মাইসা নামের দেড় বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের সময় জামাতার দাবীকৃত যৌতুকের একলাখ টাকা দিতে না পারায় ওই টাকা নিয়ে তাদের সংসারে কলহ লেগেই ছিলো। প্রায় সময় শারমিনকে মারধর করতেন জামাতা সফিক। শুক্রবার রাতে বাবার বাড়ি থেকে তার দাবীকৃত টাকা এনে দিতে বলেন। গৃহবধু শারমিন ওই টাকা দিতে অস্বীকার করলে জামাতা সফিক তাকে দু’দফায় মারধর করেন। এনিয়ে শনিবার সকালে ফের তাদের মধ্যে ঝগড়ার শুরু হয়। ওই ঝগড়ার জের ধরে জামাতা সফিক মেয়ে শারমিনকে মারধর করে। স্বামীর মারধরে সঙ্গাহীন হয়ে পরলে স্বাসরোধ করে হত্যার পর ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে নিথর দেহ বসত ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ঝুলন্ত লাশ দেখেতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। চরফ্যাসন থানা পুলিশে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত গৃহবধুর স্বামী সফিক পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানাযায়নি।
চরফ্যাসন থানার উপ-পরিদর্শক সফিকুল ইসলাম জানান, গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেয়া হয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো প্রক্রিয়া চলছে। ময়না তদন্ত রির্পোট পেলে মৃত্যুর আসল কারন জানাযাবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT