3:27 pm , April 18, 2022
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউপির সাপানিয়া গ্রামের এক কিশোর গত এক মাস ধরে নিখোঁজ। রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ কিশোরের সন্ধানে কোন কুল কিনারা খুজে পাচেছ না পুলিশ। অজানা আশংকায় দিন কাটছে কিশোরের পরিবারের। নিখোঁজ ওই কিশোর হলো মো. সোহাগ হাওলাদার (১৪)। সে সাপানিয়া গ্রামের মো. হোসেন হাওলাদারের ছেলে। এর আগেও কিশোর সোহাগের ভাই সুমন হাওলাদারকে তুচ্ছ কারনে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিলো একই এলাকার মাদক বিক্রেতা ও একাধিক হত্যাকান্ডে জড়িত ইসমাইল হাওলাদার। তার বিরুদ্ধে একটি ঘটনায় স্বাক্ষী দেয় নিখোঁজ কিশোর সোহাগ। পুলিশের সামনে তার গলাচিপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে ইসমাইল। পরিবারের ধারনা সোহাগ নিখোঁজের ঘটনায় ইসমাইল জড়িত থাকতে পারে।
পরিবার সুত্রে জানা গেছে, সোহাগ সাপানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেনীতে পড়তো। করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশুনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই কাগাশুরা বাজারের আবুল হোসেন হাওলাদারের হোটেলে বয় হিসেবে কাজে দেয়া হয়। ওই হোটেল থেকে ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ নেই। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পায়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হুমায়ন কবির বলেন, প্রত্যেক থানায় ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সোহাগের সন্ধানে তদন্ত চলছে।
সোহাগের পরিবারের ধারনা তার নিখোঁজের পিছনে এলাকার মাদক বিক্রেতা ও একাধিক হত্যায় জড়িত ইসমাইল হাওলাদার রয়েছে। কারন হিসেবে তারা জানায়, ইসমাইল তার ভাগ্নেকে মারধর করে। এ ঘটনায় থানায় জিডি করে পরিবার। কাউনিয়া থানার এসআই গবিন্দ চন্দ্র দাস তদন্তে এসে প্রত্যক্ষদর্শীর স্বাক্ষ্য নেয়। এ সময় সোহাগ জানায় ইসমাইল তার ভাগ্নেকে লাকড়ি দিয়ে পিটিয়েছে। তখন পুলিশের সামনে ইসমাইল ক্ষুদ্ধ হয়ে সোহাগের গলা চিপে ধরে। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
পরিবারের ধারনা ইসমাইলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সোহাগের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। পরিবার আরো অভিযোগ করেছে, সোহাগের বড় সুমনকে ইসমাইল হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিল। এ হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামী সে। হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিও দিয়েছে। এছাড়াও কাউনিয়ায় মুকুল ও খালেক দম্পত্তি হত্যায় জড়িত ছিলো ইসমাইল। একাধিক হত্যা মামলার আসামী ইসমাইল ভয়ংকর খুনী। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলাও রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে ইসমাইলের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ্য দেয়ায় ক্ষুদ্ধ হয়ে সোহাগকে বড় ধরনের কোন ক্ষতি করেছে। কারন সোহাগ দীর্ঘদিন কোথাও গিয়ে আত্মগোপন করার মতো বয়স ও মানসিকভাবে বেড়ে উঠেনি।