বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন এগিয়ে যাচ্ছে -পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন এগিয়ে যাচ্ছে -পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী - ajkerparibartan.com
বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন এগিয়ে যাচ্ছে -পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

3:06 pm , April 16, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ হাওরের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য ১ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি। প্রকল্পটি একনেকে পাশের পর আগামী নভেম্বরে কাজ শুরু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রতিমন্ত্রী। শনিবার দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলা চত্ত্বরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ধানের বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি জানান, উজানের পানি প্রবাহের কারণে প্রতি বছর হাওর এলাকার বাঁধ ভাঙ্গে। উজানের পলিতে ওই এলাকার ১৪টি নদী ভরাট হয়ে গেছে। এসব নদী খননে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, হাওরের বাঁধ সংস্কারের আগে অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও এখন অভিযোগ নেই। হাওরের সমস্যার স্থায়ী সমাধানে নেয়া প্রকল্প অনুমোদন হলে হাওরের সমস্যা থাকবে না বলে তিনি জানান। পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম আরো এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ না করলে আজ আমরা বাঙ্গালি জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উচু করে দাড়াতে পারতাম না। বাংলাদেশের উন্নয়ন নির্ভর করে আপনারা যারা কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।আপনাদের হাত শক্ত হলে দেশও শক্ত হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনে করতেন কৃষকের উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমেই বাংলাদেশর উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব হবে। এছাড়া তার নির্দেশনা ছিলো-কৃষক ভাইদের প্রতি খেয়াল রাখার। আর এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাধীনতার পর যে কৃষি জমি দেশে ছিলো, বিপুল জনসংখ্যার কারনে এখন তা কমেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছোট একটা দেশ কিন্তু এখন বিপুল জনসংখ্যা। স্বাধীনতার সময় যখন দেশে ৭ কোটি মানুষ ছিলো এখন সেখানে ১৭ কোটি মানুষ। কিন্তু এলাকা বৃদ্ধি পায়নি। তারপরও কৃষকদের আন্তরিকতা, নিরলস কষ্টে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন এগিয়ে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পেরেছি, এটা বিশ্বের আশ্চর্য একটা জিনিস। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কৃষি মন্ত্রনালয়ের বিভিন্ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন গবেষনা করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করায়। তিনি আগে যেখানে আমরা একটা ফসল উৎপাদন করতাম, এখন সেখানে দুটা-তিনটা ফসল উৎপাদন করি। যারমধ্য দিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারনে কৃষি জমির পরিমান কমে গেলেও খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি পড়েনি। কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের পরিবারের যে সন্তানরা রয়েছেন, তারা একত্রিত থাকুন। যখন আপনার ৫ সন্তানকে জমির ভাগ ৫টি করে দেন, তখন কেউ না কেউ জমির মাঝখানে ঘর তোলেন। এরকরম করে হিসেব করুন প্রতিনিয়ত কত শতাংশ ফসলি জমি হারাচ্ছে। তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, চিন্তা ভাবনা করুন- এক জায়গাতে থেকে বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে ভালোও থাকবেন এবং ভালো ও সুখী জীবনযাপন করতে পারবেন। যখনই ফসলের জমির পরিমান কমে যাবে, উৎপাদনের পরিমানটাও কমে যাবে। কারণ বৈজ্ঞানিকরা যতোই গবেষনা করুক না কেন, এরও একটা সীমা রয়েছে। যেখানে আমরা একটি ফসল উৎপাদন করতাম সেখানে তিনটি ফসল উৎপাদন করছি। এভাবে করতে করতে এসময় ফসল উৎপাদন স্থিতিশীল থাকবে এবং লোকসংখ্যা বাড়তে থাকবে। আমার অনুরোধ, আপনার সন্তানদের জমি ভাগ করে দিন কিন্তু বসবাস একসাথে থাকুক। ফসলি জমিটা আপনারা মেহেরবানি করে নষ্ট করবেন না। ভর্তুকি দিয়ে প্রতিবছর একটা করে পদ্মাসেতু নির্মান করা যেতো বলে উল্লেখ করে তিনি বলেণ, কৃষি সচিব বলেছেন প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছেন। এই ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে শুধু সরকারের জন্য, আমাদের দেশের মানুষ যাতে অভূক্ত না থাকেন, খেয়ে পরে বেঁচে থাকেন, আমাদের দেশের মানুষ যাতে সাবলম্বী হতে পারে সেজন্য। পেটে ভাত থাকলে কাজ করতে কষ্ট হবে না আর না থাকলে পারবেন না। কৃষি থেকে আজকে আমরা আভ্যন্তরীন চাহিদা মেটাচ্ছি। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এখান থেকে কিছু উৎপাদন বিদেশে রপ্তানি করার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আম, পেয়ারা, সবজি রপ্তানি করছি। এগুলো হলে কৃষিখাতেও বিদেশী মুদ্রা আয় করতে পারবো। এতে করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সপ্ন বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পৌছানো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী দেশে পৌছানোর লক্ষ্যে পৌছাতে সক্ষম হবো। এজন্য কৃষক ভাইদের ভূমিকা সবথেকে বেশি। তিনি বলেন, গ্রামে-গঞ্জে খালি জমি পরে থাকে, কৃষক ভাইদের প্রতি অনুরোধ সেসব জায়গাতে ফসল উৎপাদন করুন। জমির মালিক চাষ না করলে বর্গা দিন। এক কড়া জমিও খালি রাখতে দিবনা, অনাবাদি রাখবো না, এটাই সবার প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বরিশাল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাঃ ফাহিমা হক। বরিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেণ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ হারুন অর রশিদ, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ মাহবুবুর রহমান মধু।অনুষ্ঠানে বরিশাল সদরের ১০ ইউনিয়নে ৬৫০ জন কৃষককে ৫ কেজি আউশ ধানের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT