3:33 pm , April 15, 2022
গৌরনদী প্রতিবেদক ॥ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বরিশালের গৌরনদীতে মা-ছেলেসহ তিনজনকে মারধর এবং মোটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার গৌরনদী মডেল থানায় মামলা করেছে হামলার শিকার উপজেলা ছাত্রলীগ নেতার মামী। মামলার প্রধান আসামী সৈকত গুহ পিকলু উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও মাহিলারা ইউপি চেয়ারম্যান। মামলায় নামধারী ১০ জনসহ আরো অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলো- পলাশ (২৭) ও রুবেল (২৮)। মামলার বাদী রুমা বেগম হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা জিয়া সরদারেরমামী। ইউপি চেয়ারম্যান ও তাদের অনুসারীদের মারধরের শিকার হয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তার ছেলে নিলয় হাওলাদার (১৭) ও দেবর তরিকুল ইসলাম (২৯)। স্থানীয়রা জানিয়েছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু ও ছাত্রলীগ নেতা জিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। একাধিকবার তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। নিলয় হাওলাদার জানান, মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে মোটর সাইকেল মা রুমা ও চাচা তরিকুলকে নিয়ে রওনা দেন। মাহিলাড়া ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন মন্দিরের সামনে পৌছুলে ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু পথরোধ করে আমার পরিচয় জানতে চায়। তাকে পরিচয় দেয়া পর ছাত্রলীগ নেতা জিয়া কি হয় জানতে চায়। জিয়া ফুফাতো ভাই পরিচয় দেয়ার সাথে চেয়ারম্যান পিকলু লাথি মেরে মোটরসাইলে থেকে তিনজনকে ফেলে দেয়। এ সময় তারা মাটিতে পড়ে যায়। উঠে দাড়াতেই চেয়ারম্যান পিকলুর নেতৃত্বে পলাশ ও রুবেলসহ ৯/১০ জন পিটিয়ে জখম করে। তাকে রক্ষায় মা রুমা বেগমও চাচা তরিকুল এগিয়ে এলে তাদের পিটিয়ে জখম করেছে। মা রুমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ছেলে নিলয়কে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে। তখন চেয়ারম্যান পিকলুর পা ধরে প্রান ভিক্ষা চায়। এ সময় পিকলু চেয়ারম্যান তাকে লাথি মেরে পিটিয়ে ও টেনে হেচরে বোরখা ছিড়ে ফেলেছে। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলটি ভ্যানে তুলে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে। শত শত মানুষ এ দৃশ্য দেখলেও চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেননি। ইউপি চেয়ারম্যান পিকলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হামলা মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। শুনেছি নববর্ষের শোভাযাত্রার র্যালিতে অংশ নেয়া ছাত্রীকে বখাটে নিলয় উত্যক্ত করেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন মারধর করেছে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিলয় হাওলাদারের মা রুমা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্হাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ শুক্রবার এজাহার নামীয় আসামি পলাশ ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে।