চরফ্যাশনে এক ব্যক্তির এক্সরে পরীক্ষার দুরকম রিপোর্ট চরফ্যাশনে এক ব্যক্তির এক্সরে পরীক্ষার দুরকম রিপোর্ট - ajkerparibartan.com
চরফ্যাশনে এক ব্যক্তির এক্সরে পরীক্ষার দুরকম রিপোর্ট

3:19 pm , March 30, 2022

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ মনিরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির এক্সরে রিপোর্টে দুই রকম তথ্য দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার রূপালী ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। একই সাথে দ্বিতীয় প্রশ্নবোধক রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করছেন শশীভূষণ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার। ঘটনার বিবরণে জানাযায়, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়াডের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম। গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর জমি জমার বিরোধ নিয়ে একই বাড়ীর জাহাঙ্গীর, কামরুল, পারুল বেগম, জাহানারা ও পাশ্ববর্র্তী এলাকার আবদুছ ছালাম এবং শিবলু তাকে পিটিয়ে আহত করে। এতে তিনি ঘাড়ে প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হন। চরফ্যাশন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলার রূপালী ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্সরে করান মনির। যার আইডি নং-৩৪৩৩। এতে তার ‘ডান হাতের কাঁধে ভাঙ্গা’ রয়েছে মর্মে এক্সরে রিপোর্ট দেয়া হয়। এ রিপোর্টের ভিত্তিতে ২৫ সেপ্টেম্বর মনির বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে শশীভূষন থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১১৪/২০২১। ঘটনার প্রায় তিন মাস পর একই ডায়াগনস্টিক একই ব্যক্তির নামে প্রতিপক্ষকে পক্ষপাতমূলকভাবে পূনরায় আরেকটি এক্সরে রিপোট প্রদান করেন। যার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় ‘ডান হাতের কাঁধে পুরাতন ভাঙ্গা’ রয়েছে। একজনের রিপোর্ট আরেকজনকে দেয়ার নিয়ম না থাকলেও রূপালী ল্যাব অ্যন্ড ডায়াগনস্টিক ‘বিশেষ সুবিধা’ নিয়ে রিপোট প্রদান করেন। সেই সুবাদে মনিরের প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর আলম আদালতে মনিরের এক্সরে রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করে অভিযোগ দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে আদালত বিষয়টি তদন্ত করার জন্য চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানাকে নির্দেশ দেন। কিন্তু তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন মনিরুল ইসলামের মূল রিপোর্ট ও মূল এক্সরে ফ্লিম সম্পর্কে কোন খোঁজ খবর না নিয়ে তার ইচ্ছেমত নতুন রিপোর্ট দিয়ে প্রতিবেদন তৈরির চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে রূপালী ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আব্বাছ উদ্দিন বলেন, আমরা দুটি রিপোর্টই প্রদান করেছি। তবে ডাক্তার কেন দুই রকম রিপোর্ট দিয়েছেন সেটা আমার জানা নেই। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন মূল রিপোর্ট সম্পর্কে কোন খোঁজ খবর না নেয়ার বিষয়ে সঠিক মন্তব্য করতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারদের মন্তব্য চাওয়া হয়েছে। সে রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT