নগরীর ৭ খালে আবার আসবে জোয়ার নগরীর ৭ খালে আবার আসবে জোয়ার - ajkerparibartan.com
নগরীর ৭ খালে আবার আসবে জোয়ার

3:18 pm , March 9, 2022

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নগরীর জলাবদ্ধবতা ঠেকাতে নগরীর ৭টি খাল উদ্ধার, সংস্কার, খনন ও এর পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে কর্মসূচী গ্রহন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানি সম্পদ মন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এর প্রচেষ্টায় প্রায় ১ হাজার ৩২০ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদন পেলেই শুরু হবে মাঠ পর্যায়ের কাজ। পর্যায়ক্রমে নগরীর ৪৮টি খালের সবগুলোকেই এ কর্মসূচীর আওতায় আনার কথা ভাবছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। এটি হলে নগরী ফিরে পাবে বাংলার ভেনিস খ্যাত তার সৌন্দর্য। লাঘব হবে জলাবদ্ধতার জনদূর্ভোগ। বিগত ৬০ বছরের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট পুরো নগরী তলিয়ে যায় হাটু পানির নিচে। এ দিন কীর্তনখোলা নদীর পানি ৩ দশমিক ৭ মিটারে প্রবাহিত হয়েছে যা ছিলো বিপদ সীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপরে। প্লাবনের এ ঝাটকার অন্যতম কারন ছিলো খালগুলোর দুরাবস্থা। পানি নেমে যেতে সময় নিয়েছিলো ৪ দিন। এমনটা দূর্ভোগ থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় প্রকল্প হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. নূরুল ইসলাম জানান, শুধু খাল সংস্কার, পুন.সংস্কার, উদ্ধার, খননই নয় এর সৌন্দর্য বর্ধনের ব্যাপক কাজ করা হবে। নগরীর প্রবেশদ্বার ভাটার খাল দিয়ে কয়েক বছর আগেও ২৩ খাল ও ২৫টি শাখা খাল দিয়ে আসতো লঞ্চ ও নৌকা। আর এখন নগরীতে জেলখাল, লাকুটিয়ার খাল, নাপিতখালী খালসহ হাতে গোনা কয়েকটি খাল বেচে আছে মৃত প্রায় হয়ে। ভাটার খাল, তাজখালি খাল, কৃষ্ণচুড়া খাল, নথুল্লাবাদ খাল, সাগরদী খাল, বটতলা খাল, নাপিতের খালসহ অন্য ২০টি খালের অস্তিত্ব এখন খুজে পাওয়া যায় না। ২৫টি শাখা খালের একটিও বেঁচে নেই। এসবই এখন কেবলই স্মৃতি।
কিন্তু বরিশালের পরিবেশবাদীরা এমন কর্মসূচীতে সন্তুষ্ট নন। তাদের মতে বরিশালের খালগুলো এখানকার ঐতিহ্যের সাথে জড়িত। পরিবেশবাদী মো. রফিকুল আলম বলেন, এর আগেও বরিশাল জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে একাধিকবার খাল খননের কর্মসূচী ঘটা করে উদ্বোধন করার পরেও তা আর আলোর মুখ দেখেনি। তাছাড়া শুধু ৭টি খাল নয় সব খাল খননের কর্মসূচী একসাথে গ্রহনের পক্ষে তারা। তাদের মতে খাল উদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেন সবার আগে জরুরি। বরিশালের ইতিহাস ঐতিহ্য সৌন্দর্য রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু জানান, দখলদারেরা অনেক প্রভাবশালী।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড খালগুলোর স্থায়ী খননের উপর জোর দিয়েছে বলেছে খাল উদ্ধারে অবৈধ দখলদারেরা যতই প্রভাবশালী হোক তারা টিকতে পারবে না। তারা জানায় নগরীকে বানের পানিমুক্ত রাখতে জেলখাল, আমাততগঞ্জ খাল, চৌমাথা খালসহ সাতটি খাল খনন, সৌন্দর্য বর্ধনে যে মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে বরিশালে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন পাউবো বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ সবিবুর রহমান। তবে নগরবাসীর দাবি হলো কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরিশাল নগরীর ২৩ মুল খাল ও ২৫টি শাখা খাল উদ্ধার করে নগরী বাস উপযোগী করতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT