4:06 pm , February 9, 2022

খবর বিজ্ঞপ্তির ॥ বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কামরুজ্জামান গ্রুপ বরিশাল আঞ্চলিক কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে। বুধবার এ গ্রুপের নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বরিশাল আঞ্চলিক শাখায় যোগদান করেন। এ উপলক্ষ্যে শিক্ষক ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান গ্রুপ) বরিশাল আঞ্চলিক শাখা বিপুল সংখ্যক নেতা ও কর্মীসহ মূল সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি বরিশাল আঞ্চলিক শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম জাহাঙ্গীরের নিকট ফুলের তোড়া প্রদান করে যোগদানের পর্বের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুস। প্রধান অতিথি এ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস ২০০৩ সালে বিভক্ত হয়ে যাওয়া দুটি সংগঠনের মূল সংগঠনে প্রত্যাবর্তনের ঘোষণায় আনন্দ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি বলেন, অতীতে বিভাজন অবসানের জন্য সাবেক মেয়র মরহুম শওকত হোসেন হিরনসহ তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার প্রসঙ্গ তিনি তুলে ধরে শিক্ষকদের একটি মাত্র সংগঠন থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। শিক্ষকদের ভাগ্যোন্নয়নে বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আস্থা রাখতে তিনি শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সমিতির প্রধান উপদেষ্টা দাশ গুপ্ত আশীষ কুমার, সমিতির সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, বরিশাল আঞ্চলিক শাখার সহ সভাপতি আবদুল মালেক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সেলিম রেজা, শিক্ষক নেতা সুনীল বরণ হালদার ও আসাদুল আলম আসাদ, বাবুগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আবু জাফর মো. সালেহ, রাজাপুর উপজেলা শাখার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, কাঁঠালিয়া উপজেলা সম্পাদক তারিকুজ্জামান, ঝালকাঠি উপজেলা সম্পাদক মাহাতাব হোসেন, ঝালকাঠি জেলা সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন প্রমুখ।সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (কামরুজ্জামান গ্রুপের) বরিশাল আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার খান। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি ২০০৩ সালে শতবর্ষের প্রাচীন সংগঠনের বরিশাল আঞ্চলিক শাখার বিভক্তির জন্য তৎকালীন নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের সংগঠন থেকে বিতারিত করে ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণের আকাংখাকে দায়ী করেন। তিনি বক্তব্যে আরো উল্লেখ করেন ২০০৩ সালের বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি আঞ্চলিক শাখার বিভাজন দেশের শিক্ষক আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। শিক্ষক সমাজ হতাশ হয়েছে এবং চাকুরিরত শিক্ষকগণ নানা প্রকার হয়রানি ও চাকুরিচ্যুতির শিকার হচ্ছেন। অতীত নেতৃত্বের অদূরদর্শিতার মাশুল শিক্ষক সমাজ আর বহনে রাজি নয়। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে দ্রুততর সময়ের মধ্যে শিক্ষা জাতীয়করণের আন্দোলন সফল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।