ভয় দেখিয়ে লাভ নেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন কেউ ঠেকাতে পারবে না -এ্যাড. নানক ভয় দেখিয়ে লাভ নেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন কেউ ঠেকাতে পারবে না -এ্যাড. নানক - ajkerparibartan.com
ভয় দেখিয়ে লাভ নেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন কেউ ঠেকাতে পারবে না -এ্যাড. নানক

3:27 pm , January 30, 2022

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, যতই ষড়যন্ত্র করুক আর যতই ভয় দেখানো হোক, কোনো লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউ ঠেকাতে পারবেনা। রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার হলগুলোর সমন্বিত সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কারও দয়ায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেননি উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, টানা ১৩ বছর একটানা ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন, দেশে ফিরে এসে মানুষের দোরগোড়ায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবেন। সেই সংকল্প নিয়ে লড়াই করেছেন তিনি। বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে তাকে। তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করে ক্ষমতায় এসেছেন। কারও দয়ায় তিনি ক্ষমতায় আসেননি।
বিএনপিকে ভালো লাগে না রোগে ধরেছে উল্লেখ্য করে সাবেক মন্ত্রী নানক বলেন, আজ স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তব। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র শেখ হাসিনা সরকারই করে দিয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করেছে। ঢাকায় মেট্রোরেল চালু হচ্ছে। এই মেট্রোরেল প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ঢাকা তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত হবে। ঢাকা শহরে ফ্লাইওভার হওয়ার মধ্যে দিয়ে ঢাকা সিঙ্গাপুরের মতো হয়েছে। এই পরিস্থিতি তাদের ভালো লাগে না। যারা দেশকে ধ্বংস করেছে, লুটপাট করেছে তাদের ভালো লাগে না। কাদের ভালো লাগে না? যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে দেশের বিরোধিতা করেছে, যাদের মনে সাম্প্রদায়িকতা প্রোথিত তাদের। এদের কোনো কিছুই ভাল লাগে না। তাদের ভালো লাগে না রোগে পেয়েছে। এই রোগের ওষুধ আমাদের কাছে নাই। জনগণের কাছে রয়েছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ সে ওষুধ ব্যবহার করে তাদের বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এখন বলা হচ্ছে তাদের নেতৃত্বে একদফা ভিত্তিক জোট গঠন হবে। কাদের ভয় দেখায়? যারা আইয়ুব, ইয়াহিয়া খানকে মোকাবিলা করেছে তাদের? ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। জনগণের শক্তিই হলো শেখ হাসিনার শক্তি। জনগণের শক্তি দিয়ে এটি মোকাবিলা করা হবে। এ দেশে বিরোধী দল করতে হলে তাকেও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে হবে।
ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পবিত্র শিক্ষার পাদপীঠ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণতন্ত্রের জন্য লড়ায় করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশকে সুসজ্জিত করেছিল ছাত্রলীগ। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়েছিল ছাত্রলীগই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সকল আন্দোলনের স্রষ্টা, সূতিকাগার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের চির ঠিকানা, আমাদের উত্থান এখান থেকেই। এখান থেকেই আমরা ছাত্রলীগের পদ-পদবী পেয়েছি। এ সময় সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও সুসজ্জিত সম্মেলন আয়োজন করায় ছাত্রলীগ নেতাদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান জাহাঙ্গীর কবির নানক।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, একটি গোষ্ঠী পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে। তাই আমি নেতাকর্মীদেরকে বলবো আপনারা প্রস্তুত হন। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আগামী নির্বাচনের আগে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা কীভাবে বিএনপির বন্ধু হয়? তাদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে বিশ্বাস করে! এটা কি আমাদের বিশ্বাস করতে হবে? যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদেশে অপপ্রচার করে, অর্থ বিনিয়োগ করে, লবিস্ট নিয়োগ করে, তাদের কবর রচনা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা বি এম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT