2:38 pm , January 24, 2022
চরফ্যাসন প্রতিবেদক ॥ চরফ্যাসন উপকূলের ইলিশের প্রজননক্ষেত্র এবং অভয়াশ্রমে জাটকাসংরক্ষণে উপজেলা টাস্কফোর্স ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অব্যহত আছে। নিষিদ্ধজাল বিনষ্ট, জেলে আটক, মামলা ও জরিমানার নানানমূখী তৎপরতার কারণে উপকূলজুড়ে বিস্তৃত ইলিশ প্রজননক্ষেত্র ও অভয়াশ্রমে বেড়েউঠা জাটকা ইলিশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। উপজেলা মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর থেকে চলতি ২৩ জানুয়ারী পর্যন্ত চরফ্যাসন উপকূলের মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে ২১টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। উপজেলা মৎস্যবিভাগ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচালিত এসব অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালতে ৮টি মামলা করা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার টাকা। জব্দ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০ কেজি জাটকাসহ ১ হাজার ৭শ ৬২ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। পুড়ে দেয়া হয়েছে ৪১৮টি বিহুন্দীজাল ও ৩৬ হাজার ৫শ মিটার কারেন্টজাল।
উপজেলা মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা মারূফ হোসেন মিনার জানান, মাছ উৎপাদনে বিশ্বের তৃতীয় এবং ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। ২০২২ সনের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষস্থানে উঠার লক্ষ্যনিয়ে কাজ করছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু আবদুল্লাহ খান বলেছেন, চরফ্যাসন উপকূলের মেঘনা-তেতুলিয়া নদীজুড়ে বিস্তৃত ইলিশ প্রজননক্ষেত্র ও অভয়াশ্রমে ছোট ইলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নদীজুড়ে পাহাড়া নিশ্চিত করা হয়েছে। যথাযথভাবে বিদ্যমান জাটকা সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের ফলে নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের উৎপাদন বেড়েছে। যা মাছ উৎপাদানে বাংলাদেশকে বিশ্বের শীর্ষস্থানে উপস্থাপনে ভূমিকা রাখবে।