বরগুনা-ঢাকা নৌ রুটের আতংক ডুবোচর নেই নৌ-পুলিশের সর্তকতা সিগন্যাল বরগুনা-ঢাকা নৌ রুটের আতংক ডুবোচর নেই নৌ-পুলিশের সর্তকতা সিগন্যাল - ajkerparibartan.com
বরগুনা-ঢাকা নৌ রুটের আতংক ডুবোচর নেই নৌ-পুলিশের সর্তকতা সিগন্যাল

2:53 pm , January 17, 2022

 

এম সাইফুল ইসলাম, বরগুনা ॥ ঢাকা-বরগুনা-ঢাকা নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল ব্যহত হচ্ছে, যার প্রধান কারন বিভিন্ন স্থানে ডুবচর। এজন্য প্রায় সময়ই আটকে যাচ্ছে লঞ্চ। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। লঞ্চ মাস্টাররা জানান, পাঁচ বছর আগেও নদীর গভীরতা ছিলো। নৌ পুলিশের সতর্কতা সিগ্ন্যাল ছিলো তখন। সেসময় লঞ্চ চলাচলে কোন সমস্যা হতো না। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন যায়গায় ডুবচর ও পানি কমে যাওয়ায় সঠিক সময় গন্তব্যে পৌঁছাতে পারিনা। থাকতে হয় যে কোন সময় আটকে যাওয়ার আতংকে। পূবালী-০১ জাহাজের মাস্টার মো: নাসির শেখ বলেন, আগে মেঘনা নদী পারি দিতে গেলে পানির স্রোত আর গভীরতার কারনে অনেক অভিজ্ঞ মাস্টাররাও ভয়ে হিমসিম খেতো। কিন্তু এখন সেখানে চর পরে আছে। রাজহংস -০৮ এর সুকানি ছগির হোসেন মাস্টার জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার সময় আমরা অনেক যায়গায় বিপদে পরি। বিশেষ করে বরিশাল থেকে বরগুনা পর্যন্ত নানা স্থানে ডুবোচর হওয়ার কারণে আমাদের বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এমকে শিপিং লাইন্স এর ম্যানেজার মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, বিআইডব্লিউটিএর আইনে যেসকল এলাকায় নৌ সতর্কতা সিগ্ন্যাল বাতি থাকার কথা তা নেই, কিছু যায়গায় থাকলেও তা যেখানে প্রয়োজন সেখানে ব্যাবহার হচ্ছে না। ফলে জাহাজ মাস্টাররা ভোগান্তিতে পরে। গত শুক্রবার বরগুনা থেকে বিকেল ৪ টায় ছেড়ে যাওয়া এমভি পূবালী-০১ খাকদোন নদীর মোহনায় চরে আটকে যায়। এ বিষয় জাহাজ মাস্টাররা বলেন, বরগুনা খাকদোন নদীতে জাহাজ নিয়ে ঢুকতে পারিনা, গত পরশু বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার সময় খাকদোন নদীর মোহনায় জাহাজ চরে উঠে যায় এবং জোয়ার আসা পর্যন্ত ৪ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। যে কারনে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পরে এবং যাত্রীরা লঞ্চে যেতে চায় না। তারা বলেন, বরগুনা খাকদোন নদীতে এখন কোন স্রোত নেই তাই ময়লা বেধে খুব দ্রুত চর পরে যায়। বর্তমান সিজনে পানি কম থাকায় ভাটার সময় আমরা ঘাটে পৌঁছাতে পারি না, যার কারনে এখানে সেখানে নোঙর করতে হয়। এছাড়াও লঞ্চ বরগুনা ঘাটে এসে পৌঁছানোর অন্যতম বাধা বরগুনা পিডিবির বৈদ্যুতিক তার। খুবই নিচ থেকে তাদের বৈদ্যুতিক লাইন নদী পার করেছে। যার কারনে নদীতে পানি একটু বেশি হলেই জাহাজের ছাঁদে তার ্টকে যাচ্ছে। জাহাজ মাস্টার ও মালিকদের দাবি যাতে তারা নৌ মন্ত্রণালয়ের বিআইডব্লিউটিএ এর আইন ও দিক নির্দেশনায় সঠিক ভাবে জাহাজ চলাচল করতে পারে। সে বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানায় তারা।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT