শেবাচিমে লেখাপড়ার ও চিকিৎসা সেবা বিপন্ন শেবাচিমে লেখাপড়ার ও চিকিৎসা সেবা বিপন্ন - ajkerparibartan.com
শেবাচিমে লেখাপড়ার ও চিকিৎসা সেবা বিপন্ন

2:49 pm , January 12, 2022

নিউরো সার্জারী বিভাগে কোন শিক্ষক নেই

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ প্রায় এক বছর ধরে বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) নিউরো সার্জারী বিভাগে কোন শিক্ষক নেই। তাই এ বিষয়ে লেখা পড়া যেমনি বন্ধের পথে, তেমনি এ অঞ্চলের সর্ববৃহত হাসপাতালটিতেও ¯œায়ুবিক শল্য চিকিৎসা বন্ধ। ফলে গোটা দক্ষিণাঞ্চলে ¯œুায়ু বৈকল্যসহ এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসার তেমন কোন সুযোগ নেই। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এ চিকিৎসার জন্য রোগীদের ঢাকায় ছুটতে হচ্ছে। তবে গরীব অসহায় রোগীদের পক্ষে তা সম্ভব না হওয়ায় তাদের চিকিৎসার নুন্যতম কোন সুযোগ নেই। দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত সরকারী চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান শেবাচিম হাসপাতালে বছর পনের আগে জেনারেল সার্জারীর সাথে মাত্র ১০ শয্যার নিউরো সার্জরী ইউনিট চালু করা হয়। কিন্তু চিকিৎসক সংকটে ধুকে ধুকে চলছিল এখানে বিশষায়িত এ চিকিৎসা ব্যবস্থা। কিন্তু গত বছর তিনেক ধরে মেডিকেল কলেজটির নিউরো সার্জারী বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের দুটি পদেই কোন শিক্ষক না থাকায় কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থার মত হাসপাতালটিতেও চিকিৎসা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বার্ন ইউনিটের মত নিউরো সার্জারী ইউনিটটি বন্ধ ঘোষনা না করলেও অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও বিশেষায়িত এ ইউনিটে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা ব্যবস্থা অনুপস্থিত। এমনকি কলেজটির জেনারেল সার্জারী, জেনারেল/ক্লিনিক্যাল নিউরো সার্জারীতে পর্যন্ত কোন শিক্ষক না থাকায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মত হাসপাতালেও স্পর্শকাতর এ চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ। এমনকি কলেজটির স্পাইন সার্জারী বিভাগে সহকারী অধ্যাপকের একজন শিক্ষকের পদ থাকলেও কোন জনবল নেই। ফলে কোনভাবেই কলেজটিতে ¯œায়ুরোগ সংক্রান্ত পাঠদান ও হাসপাতালটিতেও চিকিৎসা ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী বিভাগে কোন শিক্ষক না থাকায় হাসপাতালটিতে আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ ছিল গত দেড় বছর। গত মাসে ঝালকাঠিতে একটি ‘এমভি অভিযান-১০’ নৌযানে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এ হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ প্রায় ৭০ জন রোগী ভর্তি করা হলেও ঢাকা থেকে বিশেষ মেডিকেল টিম পাঠিয়ে এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করতে হয়। তবে অতি সম্প্রতি বার্ন ইউনিটে একজন সহযোগী অধ্যাপক পদায়ন হবার পরে দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র বার্ন ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। এ সব বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকের অভাবে হাসপাতালটির নিউরো সার্জারী বিভাগে চিকিৎসা ব্যবস্থা বিপন্ন। চিকিৎসক সংকটের কথা বার বারই অধিদপ্তরকে জানিয়েছি। এরই প্রেক্ষিতে দিন দুয়েক আগে নিউরো সার্জারী বিভাগে একজন সহযোগী অধ্যাপক পদায়ন করা হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তবে তিনি এখনো যোগ দেননি। যদিও এ বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের দুটি পদ রয়েছে। তবে সহযোগী অধ্যাপক যোগ দিলেও সংকটের কিছুটা সুরাহা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে সহকারী অধ্যাপক পদেও যে কাউকে পদায়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান হাসপাতাল পরিচালক।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT