অরক্ষিত কীর্তনখোলা নদীর তীর জনবলের অভাবে উচ্ছেদ বন্ধ অরক্ষিত কীর্তনখোলা নদীর তীর জনবলের অভাবে উচ্ছেদ বন্ধ - ajkerparibartan.com
অরক্ষিত কীর্তনখোলা নদীর তীর জনবলের অভাবে উচ্ছেদ বন্ধ

2:47 pm , January 4, 2022

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ গত সেপ্টেম্বরে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী এলাকার কাঁচা বাজার অংশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেয়া হয়েছিলো। এরপর চারমাস অতিবাহিত হলেও আর কোনো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়নি নদী তীরবর্তী এলাকায়। ফলে আবারও গড়ে উঠেছে অসংখ্য অবৈধ দোকান ও ঘরবাড়ি। এতে নষ্ট হচ্ছে কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী পরিবেশ। অথচ এখানে রয়েছে চমৎকার পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার সম্ভাবনা। রয়েছে অত্যাধুনিক নৌ কারখানা বা ডক ইয়ার্ড তৈরির সুযোগ।
সরেজমিনে গত ৪ জানুয়ারী কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী ফুটপথ ধরে চরকাউয়া খেয়াঘাট থেকে ত্রিশ গোডাউন পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে দেখা যায় চরম অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার স্বীকার এই নদী তীরবর্তী দর্শনীয় স্থান। অবৈধ দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ছাড়াও পথের উপর দড়ি বেধে কাপড় শুকানো অনন্য নজীর স্থাপন করেছে এই অবৈধ বাসিন্দারা।
অভিযোগ রয়েছে, বরিশাল সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সাথে দ্বন্দ্বের জের ধরেই শুধু কাঁচাবাজার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। বাকী প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ অরক্ষিত পড়ে আছে বছরের পর বছর। গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকান ও বস্তিঘর। স্টিমার ঘাট থেকে শুরু করে ত্রিশ গোডাউন পর্যন্ত এলাকার মাঝখানে কিছু অংশ মুক্তিযোদ্ধা পার্ক। নদী তীরে বসে প্রশান্তি গ্রহণের চমৎকার এই পর্যটন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এসব অবৈধ স্থাপনার দাপটে।।
এমনকি সন্ধ্যার মোটেও নিরাপদ নয় মুক্তিযোদ্ধা পার্কের শান্তিময় পরিবেশ। রাত হলেই নদী তীরবর্তী এলাকায় মাদকের আড্ডা বসে বলে অভিযোগ ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল নদী বন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটা সত্যি যে সেপ্টেম্বরের পর আর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই নক্সা বাছাই ও সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। লোকবলের অভাবে অভিযান পরিচালনা করতে বিলম্ব হচ্ছে। খুব শীঘ্রই আবার অভিযান শুরু হবে বলে জানান তিনি।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT