2:56 pm , December 18, 2021
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সোহেব আলম সিয়াম। বরিশাল জিলা স্কুলে তৃতীয় শ্রেনীতে ভর্তিচ্ছু একজন শিক্ষার্থী। সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল লটারীতে অপেক্ষমান-১ লিষ্টে তার নাম এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে টেলিটক এর মাধ্যমে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফল ইন্টারনেট থেকে প্রিন্ট দেবার পর বিপাকে পড়েন সিয়ামের অভিভাবকরা। কারন প্রিন্ট কপির উপরে লেখা অপেক্ষমান তালিকা। আবার নিচে লেখা “অভিনন্দন আপনি নি¤েœাক্ত বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন”। ফলাফলের একই কপিতে দুই ধরনের লেখা দেখে বিপাকে পড়ে যান তারা। বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে তারা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করেন তথ্য কোনটি সঠিক। সন্তান ভর্তির জন্য অপেক্ষমান নাকি ভর্তির সুযোগ পেয়েছে এ তথ্য পেতে হন্য হয়ে ছুটছেন। শুধু সিয়ামের অভিভাবক নয়, মাধ্যমিকে ভর্তিচ্ছুক অপেক্ষমান তালিকায় থাকা সকল অভিভাবকরা একই ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন। এ ধরনের কার্যকলাপকে শিক্ষা অধিদপ্তর ও মন্ত্রনালয়ের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতা বলে মন্তব্য করেছেন অভিভাবকরা।
মাধ্যমিকে ভর্তিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, ইন্টারনেট থেকে ফলাফল ডাউনলোড করার পর দুই ধরনের লেখা দেখে বিপাকে পড়েছি। নিশ্চিত হবার চেষ্টা করি কোনটা সঠিক আর কোন ভুল। বিষয়টি নিয়ে স্ব স্ব স্কুলে যোগাযোগ করা হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান অপেক্ষমান তালিকাই সঠিক। তবে আপনি নি¤েœাক্ত স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন কথাটি কেন লেখা হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে নগরীর একাধিক স্কুল প্রধানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এ ধরনের লেখার কারন হিসাবে কিছুই জানাতে পারেননি।
তবে বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, লেখাটি সত্যিকার অর্থেই বিভ্রান্তিকর। কেন এ ধরনের লেখা হলো তা আমার বোধগম্য নয়। কারন এই লেখার বিষয়ে আমাদের কোন হাত নেই। তারপরও বিষয়টি যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে সে ম্যাসেজ আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌছে দেব। তিনি আরো বলেন প্রকাশিত ফলাফলে যারা প্রথম ভর্তিও সুযোগ পেয়েছে তাদের পরে যদি কোন স্কুলে একটি আসন খালি থাকে সে আসনের জন্য অপেক্ষমান তালিকায় থেকে যে সবার প্রথমে আছে তাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ অবহিত করবেন। কোন কারনে তাকে না পাওয়া গেলে বা ভর্তি না হতে চাইলে অপক্ষেমান তালিকায় থাকা দ্বিতীয় জনকে ডাকা হবে। কোন কারনেই যেন ভর্তি প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত না হয় সে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য মন্ত্রনালয় থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।