কুয়াকাটা-২ লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার কুয়াকাটা-২ লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার - ajkerparibartan.com
কুয়াকাটা-২ লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

3:36 pm , December 10, 2021

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঢাকা থেকে বরিশাল আসা এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চের কর্মচারীর কেবিন থেকে গৃহবধু তরুনীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ওই লঞ্চের কেবিন থেকে গতকাল শুক্রবার লাশ উদ্ধার করা হয়। গৃহবধু হলো-শারমিন আক্তার (২৫)। সে রাজধানীর তেজগাও কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. এনায়েত ফকির ও মা নুরুন নাহার। নৌ-পুলিশের ওসি হাসনাত জামান জানিয়েছে, গৃহবধুর হাতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা এলে মৃত্যুর রহস্য উদ্ধার দ্রুত সময়ের মধ্যে করা যাবে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, শারমিন আক্তার বিবাহিত ছিলো। তবে স্বামীর সাথে তেমন বনিবনা ছিল না। কার সাথে কেন লঞ্চে বরিশাল এসেছে সেই বিষয়ে এখনও কোন কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওসি হাসনাত জামান আরো জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনরা এলে মামলার বিষয়ে সিদ্বান্ত নেয়া হবে। টার্মিনাল ও লঞ্চের সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে গৃহবধু তরুনীর সাথে কে ছিল তার পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে লঞ্চের স্টাফরা জানিয়েছে, রাতে ঢাকার সদরঘাট থেকে ওই তরুনীর সাথে আরো একজন ব্যক্তি এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চে ওঠেন। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে স্টাফ (গ্রীজার/লস্কর) কেবিনটি ভাড়া নেন। রাত ১১ টার দিকে একজন লস্কর তাদের টিকেট দিতেও সেখানে যান। তখন তাদের স্বাভাবিক দেখেছেন। ধারণা করা হচ্ছে রাত ৩ টার পরে কোন এক সময় ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লঞ্চ সকালে নৌ-বন্দরে পৌছুলে সাথে থাকা ব্যক্তি কেবিনের বাহির থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে লঞ্চের লস্কর সোহাগ ওই যাত্রীদের খোঁজে সেখানে গিয়ে কেবিন তালা দেয়া দেখে ধারনা করেছিলো যাত্রীরা চলে গেছেন। এরপর অন্য একটি চাবি দিয়ে তালা খুলে ভিতরে নারীর লাশ দেখতে পেয়ে নৌ-পুলিশকে খবর দেয়া হয়। তারা লাশ উদ্ধার করেছে। খবর পেয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তারা তরুনীর আঙ্গুলের ছাপ থেকে পরিচয় শনাক্ত করেছে।
এদিকে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ ধারনা করছে শারমিন তার স্বামীর হাতে খুন হয়েছে। বরিশাল নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আহসান হাবিব জানিয়েছেন, তেজগাও থানা পুলিশ শারমিনের বিষয়ে খবর নিয়েছে। তারা জানিয়েছে শারমিনের বাবার বাড়ি বাবুগঞ্জে এবং স্বামীর বাড়ি নলছিটিতে। তার স্বামীর নাম মাদুদ হাওলাদার। ধারনা করা হচ্ছে সে তার স্বামীর সাথে লঞ্চে বরিশাল এসেছিলো এবং পরে খুন হয়। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT