3:15 pm , December 2, 2021
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদল বলেছেন, বাংলাদেশের ইলিশের সুনাম আছে সারাবিশ্বে। এটি আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদ ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ধরে রাখতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি এই ইলশের গৌরব ঐতিহ্য ইলিশ নিধন করছি। যাদের মধ্যে দেশ প্রেম নেই, মানবিক মূল্যবোধ নেই তারাই জাতী সম্পদ নষ্ট করে চলছে। আগামী দিনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইলিশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর কাশীপুরে মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, ইলিশ মাছ রক্ষা করতে না পারলে একদিন দেশের সীমানা ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাবে। ইলিশ শুন্য হয়ে যাবে দেশ। জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন নৌ পুলিশ সুপার মোঃ কফিল উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এনামুল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পরিচালক মোঃ জিয়া হায়দার চৌধুরী, বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস, জাতীয় মৎস্য জীবী সমিতির জেলা সভাপতি মোঃ সেলিম, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির জেলা সম্পাদক বাবুল মৃধা, পোর্টরোড মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রিপন, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন, বরিশাল সগর উপজেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা সঞ্জিব সন্যামত, চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন জেলে সমিতির নেতা মহিউদ্দিন মাল, হিজলা উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার মোঃ বাঘা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, প্রতি জেলেকে ৪০ কেজির স্থলে ৬০ কেজি চাল দেয়া, নগদ অর্থ প্রদান, অবৈধ জাল জব্ধ করে বৈধ জাল দেয়া, নদীতে অভিযানকালে জেলে সমিতির লোকজনকে সাথে নেয়া, পর্যাপ্ত যানবাহন দেয়া, জেলেদের চাল আত্মসাত বন্ধ করা, জাটকা ইলিশ না ধরা, পরিহন না করা, আড়ৎদারদের না কেনা, একটি ডিমওয়ালা ইলিশ মাছে ২০ থেকে ২২ লক্ষ মাছ উৎপাদন হয়। মৎস্য বিভাগের নতুন প্রকল্পে জন প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা, বর্তমানে নেয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে দেশে ইলিশ উৎপাদন বাড়বে এবং জেলেদের জীবন মানের উন্নয়ন হবে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।