2:19 pm , November 27, 2021
মামলা দায়ের ॥ গ্রেপ্তার -১
মোঃ আফজাল হোসেন, ভোলা ॥ ভোলায় নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটুর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মা ও স্ত্রীসহ এলাকাবাসী হত্যাকারিদের বিচাঁর দাবী করেছে। এই দাবীতে এলাকাবাসী সদর থানা ও পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। শুক্রবার রাতে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন নান্নুর নেতৃত্বে এই ঘেরাও ও বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এ সময় তারা ঘটনার সাথে জড়িত পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন চকেটসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের দাবী জানায়। ওই রাতেই এ ঘটনায় ১৬ জনকে আসামী করে ভোলা থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন। এদের মধ্যে আবুল বাশার নামের এক আসামীকে গ্রেফতার ও একটি স্প্রীড বোট জব্দ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। উল্লেখ্য, ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা নিবার্চন পরবর্তীতে এই প্রথম তাদের কর্মীদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাতে মিলিত হয়। মদনপুর থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে তারা ফেরার পথে ভোলা সদরের দিকে ট্রলারে করে যাওয়ার সময় মাঝ নদীতে তাঁদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালায় পরাজিত প্রার্থীর সন্ত্রাসীরা। এ সময় ট্রলারের থাকা খোরশেদ আলম টিটু গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ট্রলারে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নাছির উদ্দিন নান্নু, ইউপি সদস্য মো. হেলাল, আবদুল খালেক, মো. ইউসুফসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।