2:53 pm , November 16, 2021
কলাপাড়া প্রতিবেদক ॥ কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রার্থী নির্ধারনীতে তৃনমূলের ভোটে সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি মকবুল হোসেন দফাদারের নাম শীর্ষে রেখে কেন্দ্রে পাঠানোর প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন চাকামইয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির কেরামত হাওলাদারের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম। এলাকার প্রবীন আওয়ামীলীগ কর্মীদের দাবি প্রকৃত আওয়ামীলীগ পরিবারের সদস্যকে নৌকা প্রতীক না দিলে এ ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হবে। তাই বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন দফাদারকে মনোনয়ন না দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে লিখিত বক্তব্যে তিঁনি আরো বলেন, ২০০৫ সালে চাকামইয়া ইউনিয়ন বিএনপির ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি ছিলেন মকবুল হোসেন দফাদার। ২০১২ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনাষ্ঠুনিকভাবে একটি মেজবান অনুষ্ঠানে বসে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে দলের ত্যাগী নেতা বনে যান এ বিএনপি নেতা। এর পুরস্কার হিসেবে ২০১৩ সালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের গঠিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে স্থান পায়। লিখিত বক্তব্যে হোসনেয়ারা বেগম বলেন, কাউন্সিল ছাড়া তৎকালীন স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতাদের নির্দেশে ওই কমিটিতে সহসভাপতির পদ পায় মকবুল হোসেন দফাদার। তিনি আরো দাবি করেন, আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্ঠি করার জন্য বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেনকে ইউনিয়ন পরিষদ কাউন্সিলে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহনের সুযোগ দিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের ক্রমশ দূরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। কারন চাকামইয়া ইউনিয়নটি বিএনপি-জামায়াতের ঘাটি হিসেবে পরিচিত। এ কারনে তৃনমূলের ভোটে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির কেরামতকে দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থানে কেন্দ্রে নাম পাঠানো হয় সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোতালেব হাওলাদারের নাম। তিনজনের তালিকায় দুইজনই বিএনপি নেতা। এ কারনে এলাকায় ত্যাগী নেতাদের মধ্যে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে বলে জানান। অপরদিকে বিএনপি করার কথা অস্বীকার করেন মকবুল হোসেন দফাদার বলেন, বিএনপির যে কমিটির তালিকা ও স্মরনিকায় তার যে ছবি ও নাম প্রকাশ করা হয়েছে সেটি মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন। এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব তালুকদার বলেন, মকবুল হোসেন দফাদার এক সময়ে বিএনপি করতো। পরে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে স্বক্রীয় রাজনীতি করে। তবে তৃনমূলের ভোটের দিন জেলা কমিটির নির্দেশে তাকে ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় এবং তৃনমূলের ভোটে প্রথম হওয়ায় তার নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। দলীয় কাউন্সিলে মকবুল হোসেনের প্রাপ্ত ভোট ২৭, হুমায়ুন কবির কেরামত ২১ ভোট, মোতালেব হাওলাদার ০৮ ভোট এবং এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান চুন্নু পেয়েছেন ০১ ভোট। এখন দলীয় মনোনয়ন কে পাবেন এ বিষয়টি সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।