মুলাদীতে স্ত্রী-সন্তান হত্যার দায় স্বীকার করে আসামির জবানবন্দি মুলাদীতে স্ত্রী-সন্তান হত্যার দায় স্বীকার করে আসামির জবানবন্দি - ajkerparibartan.com
মুলাদীতে স্ত্রী-সন্তান হত্যার দায় স্বীকার করে আসামির জবানবন্দি

3:06 pm , November 9, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়া এবং সাড়ে ৩ বছরের শিশুকে নদীতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেফতারকৃত আসামি আবুল বাশার। গত সোমবার বাশারকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক মো. মওদুদ আহমদের কাছে স্ত্রী ও নাবালক সন্তান হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে বাশারকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। জবানবন্দিতে বাশার জানায়, তার ৩ স্ত্রী। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। এ কারণে স্ত্রী পপিকে বেঁদে বহরের নৌকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন তিনি। কিন্তু পপি নৌকা ছেড়ে না যাওয়ায় ৪ নভেম্বর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার লাশ জয়ন্তী নদীর রামচর এলাকায় ফেলে দেয় সে। এ সময় পপির সাড়ে ৩ বছরের জীবন্ত শিশু সন্তান তুহিনকেও ঘুমন্ত অবস্থায় নদীতে ফেলে দেয় সে। শিশুটিকে নদীতে ফেলে দেয়ার পর হাবুডুবু করে তলিয়ে যায়। এ সময় সে আর ওদিকে ফিরেও তাকায়নি। নাবালক শিশুটিকে মুক্তি দিতেই নদীতে ফেলে হত্যা করার কথা আদালতে স্বীকার করেন বাশার। এ ঘটনার দায় এড়াতে স্ত্রী পপি শিশু সন্তানসহ নিখোঁজ হয়েছে মর্মে গত ৪ নভেম্বর মুলাদী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন আবুল বাশার।
মুলাদী মুলাদী থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, স্বামী আবুল বাশারের জিডি তদন্তে গেলে সন্দেহ হয় তদন্ত কর্মকর্তার। বাশারের অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ আরও ঘনিভূত হয়। পরে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বাশার তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়া এবং ঘুমন্ত শিশু তুহিনকেও নদীতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। সে অনুযায়ী গত রবিবার রাতে জয়ন্তি নদীর নাতিরচর এলাকা থেকে পপি আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পপি আক্তারের ভাই চুনু সরদারের দায়ের করা মামলায় বাশারকে গত সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হলে সে স্বেচ্ছায় স্ত্রী ও সন্তান হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুলাদীর নাজিরপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, বাশার আদালতে বলেছে সে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছে। শিশু তুহিনকেও ঘুমন্ত অবস্থায় নদীতে ফেলে দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত রবিবার রাতে জয়ন্তী নদী থেকে পপি আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শিশুটির সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। জয়ন্তী এবং আশপাশের নদীতে শিশুটির মরদেহের সন্ধান করা হচ্ছে। আশেপাশের বিভিন্ন থানায়ও বার্তা দেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, নিহত পপি আক্তার বাবুগঞ্জ উপজেলার রামারচর ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের ফজলু সরদারের মেয়ে। অপরদিকে বাশার ভোলার মো. আনসারের ছেলে। পপিসহ আবুল বাশারের ছিলো তিন স্ত্রী। পপি ও বাশার দম্পত্তি বেঁদে বহরের সদস্য ছিলেন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT