3:38 pm , November 4, 2021

সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতংক
শামীম আহমেদ ॥ বাবুগঞ্জের রহমতপুর ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করায় হট্টগোল হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রহমতপুর ইউপির চেয়ারম্যান পদে ৫ প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে। গতকাল ছিল মনোনয়ন পত্র বাছাই। ইউপির বতর্মান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সরোয়ার মাহমুদ আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী মৃধা আক্তার-উজ-জামান মিলনের মনোনয়পত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেয়। গতকাল উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম মিলনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষনা করে। এর আগেই গত ৩১ নভেম্বর আক্তার উজ জামান মিলন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমীনুল ইসলামের কাছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পরিবেশক বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার যাচাই বাছাইয়ের দিনে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীর সামনে তাদের প্রার্থীতা বৈধ ঘোষনা করেন।
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সরোয়ার অভিযোগের বিষয়টি উত্থাপন করে। তখন মিলন উত্তেজিত হয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জানতে চান তার বিরুদ্ধে কে অভিযোগ দিয়েছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও ওয়ার্কার্স পার্টির উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন মাহমুদ তাকে শান্ত করা চেষ্টা করেন। এতে মিলন আরো বেপরোয়া আচরণ করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম খালেদ হোসেন স্বপনের সামনে মিলন উচ্চস্বরে বলতে থাকে “আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী” আমার বিরুদ্ধে কে অভিযোগ করবে ! এতে পরিস্থিতি আরো অশান্ত হয়ে পড়ে। মিলন ও শাহিন সমর্থকদের মধ্যে বড় ধরনের হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও নির্বাচন অফিসারের অনুরোধে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহিন মাহমুদ বলেন, নির্বাচন শুরু না হতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। এতে আগামী ২৮ নভেম্বরের ভোট সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব সরোয়ার মাহমুদ বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্বের মত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মৃধা মুহাম্মদ আক্তার উজ জামান মিলন প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে নিজের পক্ষে সমর্থন নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যার প্রতিফল আজকের নির্বাচন কর্মকর্তার সামনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উপর যেভাবে চড়াও হওয়া। সুষ্ঠু ভোট গ্রহনের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন প্রয়োজন বলে তিনি দাবী করেন।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মৃধা মুহাম্মদ আক্তার উজ জামান মিলন বলেন, তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। তর্ক হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, রির্টানিং অফিসারের সামনে তাঁর কার্যালয়ের ভেতরে এমন আচরণ মোটেও কাম্য নয়। এটা নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো। এ ঘটনায় শোকজ দেয়া হবে।