3:30 pm , October 28, 2021

চন্দ্রমোহন ইউনিয়নে

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চন্দ্রমোহন ইউনিয়নের ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট যাওয়ার সড়কটি ভেঙ্গে খালে পড়েছে। এই সড়কটি লঞ্চঘাটে যাওয়ার একমাত্র সড়ক। যানবাহনতো দুরের কথা এই সড়কে পায়ে হাটাও এখন মুশকিল। ইউনিয়নের বাসিন্দাদের একটি বড় অংশ জেলে। প্রতিদিন এই ঘাটে কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার মাছের বাজার মেলে। মজার বিষয় বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাড়ি এই সড়কের পাশেই। এই হল ইউনিয়নের উন্নয়নের চিত্র। এমন হওয়ার পরেও নির্বাচনে ব্যাপক উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে চলছে প্রার্থীদের প্রচারনা। গতকাল প্রতীক বরাদ্ধর পর থেকে জোড়ালো আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু হয়েছে এই ইউনিয়নে। ১০ হাজার ৭শ ভোটারের ছোট ইউনিয়নটির যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের চিত্র আসলেই দু.খজনক। বিগত চেয়ারম্যানের সময় তেমন কোন উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি বলে জানায় ইউনিয়নের বাসিন্দারা। কিছু নাগরিক সুবিধা পেয়েছেন, তবে তা পেতে শিকার হতে হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান এর দুর্ব্যবহার এর। এবার এই ইউনিয়নে সাবেক চেয়াম্যানসহ ৪ জন চেয়াম্যান প্রার্থী ছিলেন। এদের মধ্য থেকে রিয়াজুর রহমান রিয়াজ অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিরাজুল হককে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। এখন রয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম মতিউর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিরাজুল হক এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী কাজী মো অলিউর রহমান। এখানে সাধারন সদস্য পদে ৩৫ এ সংরক্ষিত পদে ১০ জন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। প্রতীক রবাদ্ধ পেয়ে এই প্রার্থীদের প্রচারনার জমজমাট অবস্থা দেখা গেছে। তবে সাধারন সুবিধা বঞ্চিত ভোটাররা রয়েছেন প্রতিনিধি নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাদন্দে। তারা জানায় কোন চেয়ানম্যান এই ইউুনয়নের তেমন উন্নয়ন করেনি। এই ইউনিয়নের আরও একটি বড় সমস্যা বৈষম্য বলে জানায় তারা। এতও অনেক বাসিন্দা সুবিধা পচ্ছেন না। আগামীতে যে চেয়ারম্যান তাদের এসকল সমস্যার সমাধান দেবে তাকেই নির্বাচন করবেন। যোর প্রচারনায় ব্যাস্ত প্রায় সব প্রার্থীই নিজেদের এসকল দোষ ঢাকতে আড়ালে ছিলেন। জবাবদিহিতার ভয়ে তারা নিজেদের আড়াল করেছেন। বর্তমান চেয়োরম্যান আওয়ামীলীগ এর প্রার্থী এসএম মতিউর রহমান কোন বিষয়ে কথা বলতে রাজী হননি। পাওয়া যায়নি স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিরাজুল হককেও। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী কাজী মো অলিউর রহমান জানান, নির্বাচিত হতে পারলে শিক্ষার মাস উন্নয়ন ও মাদক নিয়ন্ত্রন করবেন। এছাড়া যোগাযোব ব্যবস্থার উন্নয়ন করার কথাও বলেন। বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগের প্রার্থী ১১ তারিখে কেন্দ্র দখল করে ভোট ছিনিয়ে নেয়ার কথা ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী কাজী মো অলিউর রহমান। তবে সাধ্য অনুযায়ী এর প্রতিরোধ করবেন বলেও জানান। বর্তমান চেয়ারম্যান এর নিজ দলের সিনিয়র নেতাদের মারধরের অভিযোগও রয়েছে। তাই নির্বাচিনে প্রশাসনের যোড়ালো বুমিকা আশা করেন এই প্রার্থী। সুষ্টু ভোট হলে তিনি শতভাগ জয়ের আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।