3:08 pm , October 21, 2021
কুয়াকাটা প্রতিবেদক ॥ মহিপুর থানাধীন মোয়াজ্জেমপুর ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একেএম আবু বকর ছিদ্দিকির শিক্ষা সনদ ও বয়স জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও যোগ্যতা না থাকায় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ অমান্য করে পদোন্নতিসহ কর্মস্থানে বহাল থাকার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী একেএম আবু বকর ছিদ্দিকি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬৪ সালের ১ মার্চ। কিন্তু তার কর্মরত প্রতিষ্ঠানে দায়েরকৃত শিক্ষা সনদ অনুযায়ী ১৯৭৪ সালে তিনি দাখিল পরিক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। সেই অনুযায়ী মাত্র দশ (১০) বছর বয়সে তিনি দাখিল পাশের সনদ লাভ করেছেন। তিনি ১৯৭৬ সালে আলিম পরীক্ষায় (রোল নং-১৯৫১) অংশগ্রহণ করে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ন হয়েছেন। মাত্র বারো বছর বয়সে তিনি আলিম পাশ করেছেন। তিনি ১৯৮০ সালে কামিল পরিক্ষায় ( হাদিস) তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তার চাকুরির ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ নিয়ে দুর্নীতি ও জালিয়াতির সন্ধান মিলে। তিনি আলিম ও কামিল পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগের পরিবর্তে দ্বিতীয় বিভাগ এবং পাশের সাল ১৯৯৬ উল্লেখ করে মোয়াজ্জেমপুর ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসায় যোগদান করেন। এই জাল সনদ ব্যবহার করে ১৯৮৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর এমপিওভুক্ত হয়েছেন।
বেসরকারী মাদ্রাসা শিক্ষা কর্মচারী বেতন সহকারি অংশ ও জনবল কাঠামো- ১৯৯৫ এর শিক্ষা মন্ত্রানলয়ের শাখা ১১ এর পরিপত্র মোতাবেক সকল পরিক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ বাধ্যতামুলক। কিন্তু অধ্যক্ষ একেএম আবু বকর ছিদ্দিকির চাকুরিতে দাখিল করা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদে একমাত্র দাখিল পরিক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ, বাকি দুইটি তৃতীয় বিভাগ থাকার পরেও তিনি ২০০৮ সালের ২৩ জুন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে তিনি মহা পরিচালক বরাবর এমপিও সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। ২০০৮ সালের ২৩ নভেম্বর মহাপরিচালকের পক্ষে, অধ্যক্ষ ও শিক্ষক হিসেবে তাহার কাম্য যোগ্যতা না থাকায়, আবেদন বাতিল করা হয়। এরপরেও অদৃশ্য শক্তিতে তিনি উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে বহাল রয়েছেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ এ কে এম আবুবক্কর সিদ্দিকি’র সাথে তার বর্তমান কর্মস্থলে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোন (০১৭১৮৮৫৩১৭৯) নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন তুলেননি।