রোগী ও স্বজনদের অসেচতনতায় শেবামেক হাসপাতালের ভিতরে ও বাহিরে নোংরায় ভরা থাকে রোগী ও স্বজনদের অসেচতনতায় শেবামেক হাসপাতালের ভিতরে ও বাহিরে নোংরায় ভরা থাকে - ajkerparibartan.com
রোগী ও স্বজনদের অসেচতনতায় শেবামেক হাসপাতালের ভিতরে ও বাহিরে নোংরায় ভরা থাকে

2:52 pm , October 19, 2021

শিকদার মাহাবুব ॥ চিকিৎসাধীন রোগী ও স্বজনদের অসচেতনতার কারনে নোংরা-আবর্জনায় ভরে থাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালের ভিতর ও বাহির। রোগী-স্বজনদের কারনে হাসপাতালে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ভিতর ও বাহির পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারে না। হাসপাতালের সকল সানসেট রোগী-স্বজনদের ফেলা ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ন। সবচেয়ে বেশি শিশু ওয়ার্ড,নবজাতক ওয়ার্ড,লেবার ওয়ার্ড,নাক-কান-গলা ওয়ার্ড ও পাচতলায় অপারেশন থিয়েটারের পাশের সানসেট। হাসপাতালের ২য় গেইট ও ৩য় গেইটের সানসেট ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ন। দেখা গেছে, এসব ময়লা-আবর্জনার মধ্যে ডাবের খোসা ও বোতলও বেশি। এসব ডাবের খোসা ও বোতলে বৃষ্টির পানি জমে বিস্তার ঘটছে মশার। এ থেকে রোগীদের ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ারও ভয় রয়েছে। এ বিষয়ে হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুর স্বজন দীপা মিস্ত্রী বলেন, চিকিৎসা নিতে এসেছি। সেখানে ময়লা ফেলার জন্য কোনো পাত্র কিংবা ঝুড়ি নেই। যে কারনে বাধ্য হয়ে নিচের দিকে ময়লা ফেলছি। অপর স্বজন সুরাইয়া ইয়াসমিন বলেন, শিশু ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থাকে। বেডের তুলনায় অতিরিক্ত রোগী থাকার কারনে নিচের দিকে ময়লা ফেলছি। অন্যদিকে লোবার ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রাখি আক্তার বলেন, জানালার গিরিলের কাছেই আমি চিকিৎসা নিচ্ছি। রোগীদের ভীড়ে এখানে একটি গামলা রাখার মতোও জায়গা নেই। যে কারনে জানালার গিরিলের ফাকা দিয়ে একটু-আধটু ময়লা ফেলতে হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শুধু সানসেটগুলোতে নয় হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরেও উপর থেকে ময়লা ফেলে নোংরা করে রাখা হচ্ছে। এদিকে লেবার ওয়ার্ডের নার্স ইনচার্জ শাহনাজ পারভীন জানান, ‘লেবার ওয়ার্ডে সর্বদা অতিরিক্ত রোগী চিকিৎসাধীন থাকে। তারপরও চাহিদা অনুযায়ী ময়লা ফেলার জন্য তাদেরকে প্লাস্টিকের গামলা ও ঝুড়ি দেওয়া হয়। এসব প্লাস্টিকের গামলা ও ঝুড়ি আবার অনেক রোগীর স্বজন চুরি করে নিয়ে যায়। আমরা রোগী যতœ নিবো না কি ময়লা ফেলা ঠেকাবো। আবার একজন রোগীর সাথে ২/৪ জন করে ভিজিটর প্রবেশ করে। তারাও ওয়ার্ডের মধ্যের পরিবেশ নষ্ট করে। তারপরও আমরা চিকিৎসা সেবার পাশাপশি রোগীদের সকল বিষয়ে সচেতন করে থাকি। এমনকি আমাদের ওয়ার্ডগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি’। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার হাফেজ মোঃ আবুল কালাম বলেন, আমাদের একার পক্ষে হাসপাতাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। হাসপাতাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ক্ষেত্রে কর্মচারীদের পাশাপশি রোগী ও দর্শনার্থীদের সহায়তা করতে হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT