3:34 pm , October 6, 2021
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দুই বছর পলাতক থাকার পর বৌশের হাট এলাকার কৃষক আবদুস ছালাম হত্যা মামলার আসামী ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান মিন্টুকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি পুলিশ। মঙ্গলবার দিনগত সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উত্তর কড়াপুরের বৌশেরহাট বাজারের একটি চায়ের দোকানের সামনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মিন্টু বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ও হত্যা মামলার ৬ নং আসামী।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধে বৌশেরহাট এলাকার বাসিন্দা কৃষক আবদুস ছালামকে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারী সন্ধ্যায় হাবিবুর রহমান মিন্টুর নির্দেশে দোকানদার কাওসার হাওলাদার, খলিলুর রহমান, রাব্বি হাসান, জলিল হাওলাদার ও রহিম হাওলাদার হামলা চালায়। তাকে লাঠি, রড ও টর্চলাইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এরপর আসামী মিন্টু নিহত আবদুস ছালামকে বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসা না করিয়ে মিমাংসার নামে স্থানীয় এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। এর কয়েকদিন পর ১৬ জানুয়ারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জানুয়ারী তিনি মারা যান। এঘটনায় ১৮ জানুয়ারী ৬ জনকে আসামী করে এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ছেলে ফারুক মল্লিক। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সিআইডি পুলিশের এসআই কালাম আজাদ জানান, দুই বছর পলাতক থাকার পর মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় কাওসার হাওলাদার ও খলিলুর রহমান জামিনে রয়েছেন। জলিল হাওলাদার পূর্ব থেকেই জেল হাজতে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, মিন্টু মেম্বর এক সময় বিএনপির নেতা ছিলো। বর্তমানে লেবাস পাল্টে আওয়ামী লীগের নেতা বনে গেছে। তার বিরুদ্ধে এয়ারপোর্টসহ কোতয়ালী মডেল থানায় অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইন, হত্যা, চাঁদাবাজি, প্রতারনা ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে।