শীঘ্রই বিআরটিসিকে আধুনিক ও আদর্শ করে সাজানো হবে -বিআরটিসি চেয়ারম্যান শীঘ্রই বিআরটিসিকে আধুনিক ও আদর্শ করে সাজানো হবে -বিআরটিসি চেয়ারম্যান - ajkerparibartan.com
শীঘ্রই বিআরটিসিকে আধুনিক ও আদর্শ করে সাজানো হবে -বিআরটিসি চেয়ারম্যান

2:43 pm , September 25, 2021

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) মানেই অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতায় পরিপূর্ন একটি সরকারি পরিবহন সেবা সংস্থা। এমন বদনাম ঘুচিয়ে সকলকে নিয়ে এই সেক্টরে পরিপূর্নতা আনতে চান বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। একই সাথে অতীতে যাদের দুর্নীতির কারনে বিআরটিসির বদনাম এবং ক্ষতি হয়েছে তাদের সকলের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনিক শাস্তির ব্যবস্থা অপেক্ষা করছে বলে জানান তিনি। গতকাল শনিবার দুপুরে বিআরটিসি বরিশাল ডিপো পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে এসকল বিষয় তুলে ধরেন তিনি। সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে মত বিনিময়কালে তিনি বলেন, বিআরটিসির আজকের অবস্থার কারন অনেকটাই হচ্ছে কর্তৃপক্ষের গাফেলতি। তিনি দায়িত্ব গ্রহনের পর সব সমস্যাগুলো লিখিত আকারে নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। এতদিন সারাদেশের বিআরটিসির তদারকি হয়নি সঠিকভাবে। এই সেক্টরে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে যেমন, যাবাহনগুলোর মেইন্টেনেন্স ও কর্মি সংকট। এর দ্বারাই তৈরি হচ্ছে দুর্নীতির সুযোগ। তিনি বলেন ২০০৬ সালের পরে বিআরটিসিতে কোন নিয়োগ হয়নি। এখানে নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক চালক, কন্ট্রাক্টর এমনকি নিরাপত্তা প্রহরী। সারাদেশে এই সেক্টরটি মোটামুটি ভাবে পরিচালনার জন্যে কমপক্ষে ৬ হাজার কর্মী প্রয়োজন বলে জানান চেয়ারম্যান। তবে এর বিপরীতে আছে অর্ধেক। যেখানে গাড়ী ২ হাজার সেখানে একেকটি গাড়ির জন্য দুজন করেও লোক নেই। তবে প্রধানমন্ত্রী বিআরটিসিকে স্বয়ংসম্পূর্ন করতে ইতিমধ্যেই লোকবল নিয়োগের নির্দেশনা দিয়েছেন যা শীঘ্রই করা হচ্ছে। নিজস্ব নিয়োগকৃত জনবলের অভাবে বাইরের লোকের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে হয়। এর জন্যই অনেক সময় দুর্নীতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বর্তমানে কিছু চালক সমস্যা করে। এরা দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তাদের সহায়তায় এগুলো করে। তবে এ সকল সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে, আগের বরিশাল ডিপোর ব্যাবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান (বাবু) এর প্রসঙ্গ টেনে দুর্নীতিগ্রস্থদের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযুক্তরা প্রমানিত হলে কেউ ছাড় পবে না। বর্তমানে বিভাগীয় মামলা রয়েছে ৩৮ টি। এগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় তদন্তাধীন রয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্থরা তটস্থ আছে। এত সহজে কেউ ছাড় পাবে না। সব কিছু নিয়মের মধ্যে আনা হচ্ছে। আগে যেখানে স্টাফরা মাসের অর্ধেক চলে গেলেও বেতন ভাতা পেতো না, সেখানে তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মাসের ১ তারিখের মধ্যে বেতন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করেছেন। অব্যবহৃত মালামালে বিষয়ে তিনি বলেন, অব্যবহৃত সকল মালামাল ভবিষ্যতে ৭ দিনের মধ্যে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। দায়িত্ব নেয়ার পর নিয়মের মধ্যে আনার সাথে সাথে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়িয়েছেন বলেন চেয়ারম্যান। মত বিনিময়ে তিনি সংবাদিকদের আহবান জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকরা সহায়তা করলে ৫০ শতাংশ কাজ এগিয়ে যাবে। বরিশাল ডিপোর সমস্যা গুলো সমাধানে সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন তিনি। গত মাসে সচিব পরিদর্শন করে গিয়ে সকল সমস্যা দ্রুত সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন যার প্রেক্ষিতে কাজ শুরু হয়েছে। এখানে যারা বিগত দিনে দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিল তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দেশের স্বার্থে তারা শাস্তির আওতায় আসবে। এই পদক্ষেপগুলো নিতে যদি কাল এই পদ থেকে তাকে সড়ানোও হয় তার পরেও তিনি পিছু হটবেন না বলে জানান। সারাদেশের ন্যায় বরিশালের বিআরটিসিকেও সমৃদ্ধ করা হবে। এখানে যাত্রীদের জন্য থাকবে যাত্রী ছাউনি, থাকবে ওয়াশিং প্লান্ট সহ নানা সুবিধা। অতি শিঘ্রই বিআরটিসিকে আধুনিক ও আদর্শ করে সাজানো হবে। পরিদর্শনকালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, বিআরটিসির ডেপুটি সেক্রেটারি মো. আমজাদ হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের ভবিষ্যতের যে কোন প্রয়োজনে সরাসরি তার সাথে যোগাযোগের আহবান জানান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল ডিপোর বর্তমান ব্যবস্থাপক (অপা:) মো. জাহাঙ্গীর আলম।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT