2:51 pm , September 21, 2021
কলাপাড়া প্রতিবেদক ॥ কলাপাড়ার লালুয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের অভিযান কালে ধাওয়া খেয়ে সুজন হাওলাদার (৩০) নামে এক জেলের রহস্য জনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় জেলে এবং গ্রামবাসীর। সোমবার বেলা সাড়ে এগারটায় চর বালিয়াতলীর ডোশ এলাকার এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় উত্তেজিত স্থানীয়রা লালুয়া নৌ-পুলিশ ফাড়িঁর এএসআই মামুনসহ চার সদস্যকে অবরুদ্ধ করে এবং জেলে সুজন হাওলাদারকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাবলাতলা বাজারে পরে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎস্যক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে। পুলিশ এবং স্থানীয় উত্তেজিত জনতার হাতাহাতিতে নৌ-পুলিশের দুই সদস্য এবং তাদের নিজস্ব ট্রলারের মাঝিসহ ৩ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় শেষ বিকালে স্থানীয় জনতা বিক্ষোভ মিছিল করে।
ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মো. শহিদুল হক, কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ আলী, কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুর রহমান, মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামানসহ দুই দল অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এসময় বালিয়াতলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ,বি,এম হুমায়ুন কবির এবং ধুলাসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আঃ জলিল মাস্টারসহ অন্যন্য জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত জেলে সুজনের সাথে থাকা জেলেরা জানায়, বেলা সাড়ে এগারটায় চর বালিয়াতলী সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের প্রথম বয়ার কাছে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরারর সময় লালুয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ট্রলারটি তাদের ধাওয়া করে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে মাছ শিকার করছে এমন অভিযোগে তাদের ধাওয়া করে ডোশের খালের অভ্যান্তরে নিয়ে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা অপর ৪ জেলে পালিয়ে গেলেও সুজন অচেতন অবস্থায় ট্রলারেই থেকে যায়।
নৌ-পুলিশ ফাড়িঁর এএসআই মামুনের দাবি তারা জেলে সুজনকে কোন ধরনের নির্যাতন করেনি। তিনিসহ চার পুলিশ সদস্যরা ওই ট্রলারে ওঠে সুজনকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাকে গ্রামবাসী হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষনা করেন।
তবে কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক সায়মা সুলতানা জানান, সুজনকে মৃত অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে দার শরীরের কোথাও কোন ক্ষত বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ইনটার্নাল কোন ইনজুরি থাকলে তা ময়না তদন্তে বের হয়ে আসবে।
এঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমেদ আলী বলেন, আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ মানুষকে শান্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি এবং নিহত জেলে ও নৌ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে আসা হয়েছে। জেলে সুজন হাওলাদার কী ভাবে মারাগেছে সেটা ময়না তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। এঘটনায় নিহতের স্বজনদের অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।