তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীর তীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীর তীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত - ajkerparibartan.com
তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীর তীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত

2:44 pm , September 8, 2021

শরীফ আল-আমিন, তজুমদ্দিন ॥ মনোরম পরিবেশ, নদীর ঢেউ আর বাহারি ডিজাইনের ব্লক নির্মাণ সবমিলিয়ে এক অপরূপ সৌন্দের্যের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীর পাড়। যেখানে সাজানো বাহারি রঙ্গের ব্লকের উপর বসেই আপন মনে ভাবতে পারেন প্রিয়জনের কথা, দেখতে পারেন নদীর ঢেউ ও প্রাকৃতিক দৃশ্য ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, নদী ভাঙ্গন রোধে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় প্রায় ৬শ কোটি টাকার সিসি ব্লক স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যে কারণে পাল্টে গেছে নদীর পাড়ের সার্বিক চিত্র। নদী বাঁধের কাজে ব্যবহত ব্লককে কাজে লাগিয়ে বাহারি সাজে সাজানো হয়েছে তজুমদ্দিনের চৌমহনী ঘাট থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার মেঘনা পাড়। সারিবদ্ধভাবে ব্লকের উপর আবার সাদা, লাল ও হলুদ রঙ্গের ৩টি করে ব্লক সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে সাজানো হয়েছে বাহারি রূপে। নানা সৌন্দর্যের কারণে স্থানীয়দের পাশাপাশি পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকেও সৌন্দর্য পিপাসু মানুষগুলো তার পরিবার পরিজন নিয়ে বিকাল বেলা বাহারি রঙ্গের ব্লকের বসেই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছে।
তজুমদ্দিন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাদির হোসেন রাহিম বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আগামীর সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র তজুমদ্দিন মেঘনার পাড়ে ভালোবাসার টানে ছুটে যাই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। মাননীয় এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন ভাইয়ের প্রচেষ্টায় এ অঞ্চলের মানুষগুলো ভাঙ্গনের ভয়াল থাবা থেকে যেমন রক্ষা পেয়েছে তেমনি ব্লকের সৌন্দর্যের কারণে পর্যটকদের আগমনে নিজেদের জীবনমান পরিবর্তনের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তজুমদ্দিন হোসনেআরা চৌধুরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন সুমন বলেন, ভোলা-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ায় বদলে গেছে নদীর পাড়ের মানুষের ভাগ্য। যেখানে মানুষের ভিটেমাটি হারনোর ভয় ছিল প্রতিনিয়ত, সেই নদীর পাড় এখন এক অপরূপ প্রাকৃতিক পর্যটন স্পটের পাশাপাশি মানুষের অবকাশ যাপনের উত্তম স্থানে পরিনত হয়েছে।
ব্লক পাড়ে ঘুরতে আসা লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হাজরা বলেন, মানুষ প্রকৃতিগতভাবেই প্রকৃতি প্রেমিক। তজুমদ্দিনের মেঘনায় রয়েছে বিশাল জলরাশি। যেখানে যেকোন ভ্রমন পিপাসুর মনের খোড়াক যোগাতে সক্ষম। ইতোমধ্যে তজুমদ্দিনের বেড়ি বাঁধে রঙ্গ বেরঙ্গের যে ব্লক বসানো হয়েছে তাতে করে এই সৌন্দের্যের মাত্রা অনেকগুন বেড়ে গেছে। পাশাপাশি একটি টেকশই বেড়িবাঁধও নির্মান হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT