মঠবাড়িয়ায় জরাজীর্ণ টিনের ঘরে সারের গোডাউন মঠবাড়িয়ায় জরাজীর্ণ টিনের ঘরে সারের গোডাউন - ajkerparibartan.com
মঠবাড়িয়ায় জরাজীর্ণ টিনের ঘরে সারের গোডাউন

3:13 pm , August 25, 2021

শাকিল আহমেদ, মঠবাড়িয়া ॥ মঠবাড়িয়ার সাফা বাজারে জরাজীর্ণ অরক্ষিত একটি টিনের ঘরে সারের গোডাউন করায় দুর্গন্ধে ভূগছে এলাকাবাসী। ইউরিয়া সার ও কীট নাশকের গন্ধে গোডাউন সংলগ্ন বসবাসরত পরিবারগুলো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এমনকি সার ও কীটনাশকের গন্ধে পরিবারগুলোর বসত ঘরের পাশে রোপিত বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ গাছগুলোও মরে যাচ্ছে। এনিয়ে ওই এলাকার বেলায়েত হোসেন ও ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন লোক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাননি। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা সাফা বাজারে মনির নামে এক ব্যক্তি সার ও কীটনাশকের সাব ডিলার নিয়ে ব্যবসা করেন। রাসয়নিক সার ও কীটনাশক বিক্রির জন্য পাকা গোডাউনের কথা থাকলেও তিনি একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে মালামাল রেখে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এতে খাদ্যদ্রব্য বিষক্রিয়াসহ সারের গোডাউন সংলগ্ন অন্য ব্যবসায়ীদের খাদ্য গুদামের তেল, লবন, হলুদ, মরিচ, দুধের গুরা ও পানের আড়তের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। টিনসেড গোডাউন ঘরের অপর অংশের ভাড়াটিয়া অঞ্জলা হালদার জানান, সারের গন্ধে বাচ্চারা প্রায়ই অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। প্রতিবেশী বেলায়েত বেপারী জানান, খান ট্রেডার্সের হেলেনা খানম নামের এক নারীর কাছ থেকে মনির লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছে। সে জরাজীর্ণ একটি টিনের ঘরে গোডাউন করায় পরিবেশ ও বায়ু দূষণ হচ্ছে। আমরা গোডাউন সরানোর জন্য মনিরকে বললে সে আমাদের চৌদ্দ সিকে ঢুকানো ধমকি দেয়। সাফা বন্দরের ব্যবসায়ি জহিরুল ইসলাম বলেন, সারের গোডাউনের কারণে তার আশপাশের বসবাসরত ৮/১০টি পরিবারের মানুষগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এবং বাচ্চারা প্রায়ই অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এব্যাপারে ব্যবসায়ি মনির তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই ঘরে আগেও গোডাউন ছিল। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন জানান, সরেজমিন তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT