আগৈলঝাড়ায় করোনা প্রতিষেধকের টিকা গ্রহনের দীর্ঘ লাইন আগৈলঝাড়ায় করোনা প্রতিষেধকের টিকা গ্রহনের দীর্ঘ লাইন - ajkerparibartan.com
আগৈলঝাড়ায় করোনা প্রতিষেধকের টিকা গ্রহনের দীর্ঘ লাইন

3:27 pm , July 26, 2021

পরিবর্তন ডেস্ক ॥ “মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে, বাঁচিবার চাই সবার তরে”- কবির এই কথার সাথে সুর মিলিয়ে সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে কেউ বিদায় নিতে চায় না। তাই বাঁচতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি কোভিড-১৯টিকা গ্রহনের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
বৈশি^ক মাহামারী করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে এখন মরিয়া হয়ে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা নিজেদের জীবন বাজী রেখে কোভিড মোকাবেলাসহ দৈনন্দিন কাজ করে চলেছেন প্রতিনিয়তই।
দেশে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহনের জন্য প্রথম পর্যায় থেকে সরকার ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালানোর পরেও ওই সময়ে যারা ভ্যাকসিন গ্রহনের জন্য অনলাইনে নিবন্ধন করেছিলেন তাদের অনেকেই বিভিন্ন কুসংস্কারে নিমজ্জিত হয়ে শেষ পর্যন্ত করোনার টিকা গ্রহন করেন নি।
আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, প্রথম পর্যায়ে সন্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে চাহিদা অনুযায়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারীভাবে বিনা মূল্যে টিকা সরবরাহ করা হলেও লোকজনের কু-সংসকার ও ভ্রান্ত ধারণায় অনীহার কারণে টিকা না নেয়ায় শেষ পর্যন্ত আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনার টিকা ফেরত গেছে। সরকার কোন কোন ডিপার্টমেন্টে করোনার টিকা গ্রহন বাধ্যতামুলক করলেও তারও অনেকেই শেষ পর্যন্ত টিকা গ্রহন করেনি। এর মধ্যে অনেকেই আবার প্রথম ডোজ টিকা গ্রহন করলেও দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহন করেন নি।
এদিকে সার্ভার সমস্যার কারনে ফোনে এসএসএস পাওয়া লোকজন নির্দ্দিষ্ট দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা গ্রহন করতে গিয়ে তাদের এসএমএস স্ক্যানিং সার্ভারে না নেয়ায় টিকা নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন অনেকেই। অন্যদিকে অনলাইনে টিকা গ্রহনের নিবন্ধনের ১৫দিনেও অনেকে টিকা গ্রহনের ফিরতি তারিখের এসএমএস না পাওয়ায় অজানা আশংকায় চিন্তিত হয়ে পরেছেন আবেদনকারীরা।
সূত্র মতে, ৭ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনের দিন থেকে সোমবার ২৬জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন উপজেলার ১৫ হাজার ৫শ ২২ জনে।
এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা গ্রহন সম্পন্ন করেছেন ৭হাজার ৭শ ৮৩ জন, দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহন সম্পন্ন করেছেন ৪ হাজার ২শ ৯৫ জন। প্রথম ডোজ টিকা গ্রহন করেনি ৭ হাজার ৭শ ৩৯জন। তিন ধাপে দ্বিতীয় পর্যায়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা মজুদ বা সরবরাহ করা হয়েছে ৬ হাজার ৮শ ডোজ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারী সারা দেশের সাথে আগেলঝাড়া উপজেলায়ও কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে ১৮জন, ৮ ফেব্রুয়ারী ১৬ জন, ৯ ফেব্রুয়ারী ৩০ জন, ১০ ফেব্রুয়ারী ১০৬ জন, ১১ ফেব্রুয়ারী ২২০জন, ১২ ফেব্রুয়ারি ২৩৭জন, ১৩ ফেব্রুয়ারি ৭ম দিনে ২৫৮জন, ৮ম দিনে ২০১জন, ৯ম দিনে ২৬৮জন, ১০ম দিনে ৩২০জন, ১১তম দিনে ৪১০জন, ১২তম দিনে ৩২০জন ও ১৩তম দিন ৩৫০জন, ১৪তম দিনে ২৩০জন, ১৫তম দিনে ২৩০জন, ১৬তম দিনে ২৭০জন, ১৭তম দিনে ১৭০জন, ৪২তম দিন সোমবার (২৬জুলাই) ৩৬৫ জন টিকা গ্রহন করেছেন। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন জানান, করোনা মাহারিতেও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা নিজেদের স্বাস্থ্য ও মৃত্যু ঝুঁকি উপেক্ষা করে কোভিড-১৯ যাবতীয় কার্যক্রমসহ হাসপাতালের নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
হাসপাতালের তিন জন চিকিৎসককে কোভিড-১৯এর উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দিয়ে কোভিড কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়াও অন্যান্য চিকিৎসকেরা নিরলস ভাবে কাজ করার পরেও মানুষের মাঝে ভ্রান্ত ধারনার কারণে প্রথম পর্যায়ে অনেকেই টিকা গ্রহন সম্পন্ন করেন নি। তবে টিকা নেয়ায় কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকায় এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা করতে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় টিকা গ্রহনের জন্য প্রতিদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বুথে টিকা গ্রহনকারীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ৬ হাজার ৮শ ডোজ টিকা প্রদান করা যাবে বলেও জানান ডা. বখতিয়ার আল মামুন।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT