শেবামেক হাসপাতাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত শেবামেক হাসপাতাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত - ajkerparibartan.com
শেবামেক হাসপাতাল ময়লার ভাগাড়ে পরিণত

3:39 pm , July 24, 2021

শিকদার মাহাবুব ॥ গণপূর্তের খামখেয়ালিতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালের পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘ দিনের পুরনো মালামাল সরিয়ে না নেওয়ার কারণে হাসপাতালে কিছু অংশ ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পরিষ্কারের বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যাথা থাকলেও গণপূর্ত বিভাগ বিপরীত ভূমিকা পালন করছে। হাসপাতালে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনরা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ গণপূর্তের ফেলে রাখা পুরনো আসবাবপত্র এখানকার বিভিন্ন স্থান ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে। এমনকি এসব পুরোনো আসবাবপত্র হাসপাতালে ফেলে রাখার কারণে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ জানান, গণপূর্ত বিভাগকে পুরনো আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য একাধিকবার চিঠি দিলেও কোনরকম তাদের মাথা ব্যাথা নেই। গণপূর্তের ফেলে রাখা আসবাপত্রের কারণে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া ট্রলি গিয়ে হোচট খেয়ে একাধিকবার পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে করমচারী। এমনকি ট্রলিতে রোগী আনা-নেওয়াও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
হাসপাতালের আরেক কর্মচারী মোঃ আশরাফ বলেন, প্রতিনিয়ত হাসপাতাল পরিষ্কার রাখার কাজ করে থাকি। কিন্তু ফেলে রাখা পুরনো জিনিসের ওই অংশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম করা যায় না। ওই স্থানে সবসময়ই নোংরা আবর্জনায় ভরা থাকে। এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালের নিচতলায় মেডিসিন স্টোরের সামনে ও মানসিক ওয়ার্ডের সামনে, দুই তলায় ফিজিওথেরাপির সামনে গণপূর্তের পুরনো আসবাবপত্র পড়ে রয়েছে। গত ছয় মাস ধরে আসবাবপত্র বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকার কারণে হাসপাতাল নোংরায় পরিণত হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের এসও মোঃ রফিক জানান, পুরনো ওই জিনিসপত্র দেখভালের দায়িত্ব তার নয়। এসব দেখেন এসও ফিরোজ আলম। তবে ইলেকট্রনিকস বিভাগের মোঃ ফিরোজ আলম প্রথম বিষয়টি অস্বীকার করে এসও রফিকের কাঁধে দোষ চাপায়। পরে ফিরোজ আলম বলেন, হাসপাতালে লিফটের কাজ চলমান থাকার কারণে এসব পুরনো আসবাবপত্র সরানো যাচ্ছে না।

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন    
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী মিরাজ মাহমুদ
 
বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃ কুশলা হাউজ, ১৩৮ বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক,
সদর রোড (শহীদ মিনারের বিপরীতে), বরিশাল-৮২০০।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by NEXTZEN-IT